দেশের সব এলাকায় কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যাওয়ার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। এছাড়া অধিকাংশ এলাকায় ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠতে পারে। তাই সব নদীবন্দরগুলোতে সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এক পূর্বাভাসে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রাজশাহী, পাবনা, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের উপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে দুই নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া দেশের অন্যত্র পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
দেশের কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। তবে এজন্য কোনো সতর্কতা নেই।
শনিবার চট্টগ্রামে বিভাগে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছিল। চট্টগ্রামে ১৯০ মিলিমিটার বর্ষণ হয়েছে, যা চলতি মৌসুমের রেকর্ড। রোববার দুপুর নাগাদও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণ হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, বৃষ্টিপাতের এ প্রবণতা আগামী বুধবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
নভেল করোনা ভাইরাসের প্রকোপের মধ্যে বৃষ্টিপাত বাড়তি ভোগান্তিতে ফেলেছে দেশবাসীকে। শ্রমিকরা মাঠে ধান কাটছে, বাইরে আছে দিনমজুর, খেটে খাওয়া মানুষ। এছাড়া নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে ঘর থেকে বের হয়েও বিপাকে পড়েছেন অনেকে।
রাজধানীতে বাজার হাতে অনেককে ভিজতে ভিজতে ফিরতে দেখা গেছে। আবার কমেও গেছে অনেকের বেচা বিক্রি।
বিশেষ করে গ্রীষ্মের ফল বিক্রেতারা কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন। তরমুজ, কাঁচা আম, আনারস বিক্রেতাদের কপালে দেখা গেছে চিন্তার ভাঁজ।
অন্যদিকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে খবর আসছে, জীবনে তাগিদে ঘর থেকে বের হয়ে বজ্রপাতের কবলে পড়ে মৃত্যুবরণ করছেন অনেকে। প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও বজ্রপাতে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২০