আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার দুদকের উপসহকারী পরিচালক ও কোর্ট পরিদর্শক পদের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এরই মধ্যে প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) উপসহকারী পরিচালক ও কোর্ট পরিদর্শক পদে যাঁরা প্রাথমিক পরীক্ষায় পাস করবেন তাঁরা এর লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করে দিন।
লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি: প্রাথমিক বাছাই পরীক্ষায় দুদক নিয়োগ-২০১৯-এর বিজ্ঞপ্তিতে লিখিত পরীক্ষার মানবণ্টন দেওয়া আছে। চলতি সার্কুলারের মানবণ্টন ও ২০১৫ সালের নিয়োগ পরীক্ষার লিখিত প্রশ্ন পর্যালোচনা করে দেখা যায় ৫টি বিষয়ের ওপর লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন করা হয়। একটি নির্দিষ্ট দিনেই সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত তিন ধাপে পাঁচ ঘণ্টার লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়।
বাংলা: ২০১৫ সালে লিখিত অংশে শব্দ দিয়ে বাগধারার ব্যবহার ও বাক্য রচনায় ১০, ভাবসম্প্রসারণে ১০, ইংরেজি থেকে বাংলা অনুবাদে ১০ এবং মুক্তিযুদ্ধের ওপর ২০ নম্বরের একটি রচনা লিখতে বলা হয়েছিল। প্রশ্নের প্যাটার্ন একই থাকলে বা পরিবর্তিত হলেও বাংলা ব্যাকরণ (যেমন শব্দগঠনের নিয়ম, বানানের নিয়ম, বাক্য শুদ্ধি, বাক্য গঠন), ভাব সম্প্রসারণ, সারমর্ম, অনুবাদ, সংলাপ, পত্রলিখন, রচনা এর মধ্য থেকেই প্রশ্ন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বাংলা লিখিত অংশের প্রস্তুতির জন্য ভালো কোনো প্রকাশনীর বিসিএস লিখিত পরীক্ষার বাংলা বই দেখতে পারেন।
ইংরেজি: ২০১৫ সালে লিখিত অংশে Bangla to English Translation 10, Phrase & Idioms 10, Critical Writting 10, Essay 10 নম্বরের প্রশ্ন করা হয়েছিল। প্রশ্নের প্যাটার্ন একই থাকলে বা পরিবর্তিত হলেও Question from comprehension, English Grammar (Voice, Narration, Correction of Sentences, Transformation of sentences, Use of verb, Use of Preposition, Changing parts of speech, Phrase & Idioms) Translation, Letter, Composition or Essay এর মধ্যে থেকেই প্রশ্ন করা হবে বলে আশা করা যেতে পারে। ইংরেজি লিখিত অংশের প্রস্তুতির জন্য ভালো প্রকাশনীর বিসিএস লিখিত পরীক্ষার ইংরেজি বই দেখতে পারেন।
কম্পিউটার: গত লিখিত পরীক্ষায় কম্পিউটার লিখিত অংশে কম্পিউটার-সম্পর্কিত ২ নম্বরের ১০টি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন, ১০ নম্বরের দুটি টীকা, ২০ নম্বরের কম্পিউটার-সম্পর্কিত একটি বর্ণনামূলক প্রশ্ন করা হয়েছিল। প্রশ্নের প্যাটার্ন একই থাকলে বা পরিবর্তিত হলেও কম্পিউটার সংগঠন, ইনপুট-আউটপুট ডিভাইস, অপারেটিং সিস্টেম, কম্পিউটার সফটওয়্যার, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, মাইক্রোসফট অফিস, ইন্টারনেট, ফাইল ফরম্যাট থেকেই প্রশ্ন করা হতে পারে। কম্পিউটার লিখিত অংশের প্রস্তুতির জন্য উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণির আইসিটি বই এবং ওরাকল বা অন্য যেকোনো প্রকাশনীর বিসিএস লিখিত পরীক্ষার সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বই থেকে কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি অংশটুকু দেখতে পারেন।
বাংলাদেশ বিষয়াবলি: গত লিখিত পরীক্ষায় বাংলাদেশ বিষয়াবলি অংশে ২ নম্বরের ১০টি এককথায় উত্তর ধরনের প্রশ্ন, ৫ নম্বরের ২টি টীকা এবং ২০ নম্বরের একটি বর্ণনামূলক প্রশ্ন করা হয়েছিল। বাংলাদেশ বিষয়াবলির পরিসর অনেক বিস্তৃত। প্রশ্নের প্যাটার্ন একই থাকলে বা পরিবর্তিত হলেও বাংলাদেশের প্রাচীন ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশের অর্থনীতি ও বাংলাদেশের সমস্যা- সম্ভাবনা ও উন্নয়নমূলক প্রকল্প, সংবিধান প্রভৃতি বিষয় থেকে প্রশ্ন হতে পারে। বাংলাদেশ বিষয়াবলি লিখিত অংশের প্রস্তুতির জন্য ভালো কোনো প্রকাশনীর বিসিএস লিখিত পরীক্ষার বাংলাদেশ বিষয়াবলি বই দেখতে পারেন।
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি: গত লিখিত পরীক্ষায় আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি অংশে ২ নম্বরের ১০টি এককথায় উত্তর ধরনের প্রশ্ন, ৫ নম্বরের ২টি টীকা এবং ২০ নম্বরের একটি বর্ণনামূলক প্রশ্ন করা হয়েছিল। বাংলাদেশ বিষয়াবলির মতোই আন্তর্জাতিক বিষয়াবলির পরিসর অনেক বিস্তৃত। প্রশ্নের প্যাটার্ন একই থাকলে বা পরিবর্তিত হলেও জাতিসংঘ ও বৈশ্বিক সংগঠন, আন্তর্জাতিক চুক্তি, দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি প্রভৃতি বিষয় থেকে প্রশ্ন হতে পারে। আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি লিখিত অংশের প্রস্তুতির জন্য ভালো যেকোনো প্রকাশনীর বিসিএস লিখিত পরীক্ষার আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি বই দেখতে পারেন।
কম্পিউটার টেস্ট: ২০১৫ সালের নিয়োগ পরীক্ষায় লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের বুয়েট কম্পিউটার ল্যাবরেটরিতে ৫০ নম্বরের কম্পিউটারের ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয়েছিল। এখানে বাংলা ও ইংরেজি টাইপিং, মাইক্রোসফট এক্সেলের গাণিতিক ও যুক্তিমূলক ফাংশন ও ফর্মুলার ব্যবহার, প্রশ্নে উল্লেখিত লে আউট অনুযায়ী পাওয়ার পয়েন্ট স্লাইড তৈরি করা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। বাংলা টাইপিংয়ের কাজের জন্য অভ্র ও বিজয় উভয় সফটওয়্যার ব্যবহারের অনুমতি ছিল। এখানে টাইপিং স্পিড বা কম্পিউটারের বিশদ জ্ঞান নয়, মূলত একজন কর্মকর্তা হওয়ার জন্য যে বেসিক কম্পিউটার জ্ঞান থাকা প্রয়োজন, সেটিই যাচাই করে দেখা হয়।