রকিবুল হাসান তোতা, চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবিকার দ্বারা বিরুপ আচারণের স্বীকার হাতিভাঙ্গা গ্রামের প্রসূতি মা ও শিশুকে দেখা শুনা ও অর্থিক সহায়তা করলেন সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী। গতকাল শনিবার বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে হাতিভাঙ্গা বসতি পাড়ায় তারা চাঁদ ফকিরের বাড়িতে গিয়ে অসহায় পরিবারের খোঁজ খবর নেন এবং অর্থিক সহায়তা করেন ।
জানাযায়, দামুড়হুদা উপজেলার হাতিভাঙ্গা গ্রামের বসতি পাড়ার অসহায় পরিবার তারাচাঁদ ফকিরের মেয়ে রোজিনা খাতুন টাকার অভাবে হাসপাতাল কিম্বা ক্লিনিকে নিতে না পেরে গত রবিবার বাড়িতে নরমালে ডেলিভারিতে ছেলে সন্তান জম্ম হয়। নরমাল ডেলিভারি হওয়ার সময় প্রসাবের রাস্তা কেটে যায় এতে রক্ত বের হতে থাকে। পরিবার ও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় রোজিনা খাতুনকে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ইমার্জেন্সিতে কতব্যরত চিকিৎসক শুনার পর সেবিকাদের নিকট পাঠান।তখন সেবিকার দায়িত্ব পালন করেন অশিতা হালদার, জেনিফা খাতুন ও আয়া সেলিনা খাতুন।এ সময় রোগি দেখার পর অশিতা হালদার ও আয়া সেলিনা খাতুন কিছু টাকা দাবি করে বলে যে হাত মোজা, সাবান,সুতা কিনে আনতে।পরে এগুলো কিনে আনার পর ভুক্তভোগীরা বলে আমরা গরিব মানুষ ২ হাজার টাকা দিব তখন সেবিকা অশিত টাকা কম হওয়ায় রাগগ্নিত হয়ে রোগি এবং রোগির লোকজনকে তাড়িয়ে দেয়।
এমন ঘটনায় স্থানীয় প্রত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ নজরে আসে দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের মানবিক চেয়ারম্যান হযরত আলির।পরে তিনি বিভিন্ন সংবাদকর্মী ও এলাকাবাসীর কাছে ঘটনা শুনে সত্যতা মিললে ছুটে যান হাতিভাঙ্গার বসতি পাড়ার অসহায় পরিবার তারাচাঁদ ফকিরের বাড়িতে। সেখানে তার পরিবারের খোঁজ খবর নেন এবং প্রসূতি মা ও সন্তানের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা করেন। সেই সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া উপহার খাদ্য সম্যগ্রী সেই পরিবারের দেন।
এ সময় প্রসূতি মা রোজিনা খাতুন বলেন, আমার আব্বা গরিব মানুষ আমাকে ঠিকমতো চিকিৎসা করতে পারছে না আর সেই সময় চেয়ারম্যান ভাই আমাদের বাড়িতে এসে সহযোগিতা করেছেন এ কথা কোন দিন ভুলব না।সেদিন নার্সরা আমাকে যেভাবে তাড়িয়ে দিয়েছিল রক্তক্ষরণ হয়ে আমি মরে যেতাম। নার্সরা আমার সাথে যা করেছে তা যেন আর অন্য করো সাথে না করে।
দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী বলেন, স্থানীয় পত্র প্রত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত ও সংবাদিক ভাইদের কাছে খবর পেয়ে আমি ছুটে চলে এসেছি।আসলেই আমি অবাক হয়ে গেছি ঘটনা শুনে।চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য মাননীয় এমপি হাজী আলী আজগার টগর এই এলাকার জনগণের কথা ভেবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিজারের ওটি, এক্সরে মেশিন, অক্সিজেন, নতুন বিল্ডিং করে দিয়েছেন। তার পর ও যদি সঠিকভাবে রোগিরা সেবা না পাই তাহলে রোগিরা যাবে কোথায়।এমন ঘটনা শুনলে নিজেদেরই লাজ্জা লাগে। তাই আমি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকতাকে অনুরোধ করবো হাসপাতালে নিয়োজিত ডাক্তার ও নার্সদের একটু মানবিকভাবে চিকিৎসা প্রদানের জন্য।