মোঃ শহিদুল ইসলাম, টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলের মধুপুরে পর্নোগ্রাফি ও মাদক সংক্রান্ত অপরাধের দায়ে পৃথক দুইটি অভিযান চালিয়ে চার যুবককে অর্থদণ্ড সহ ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত।
এ সময় পর্নোগ্রাফির কাজে ব্যবহ্যত ৬টি ল্যাপটপ, একটি ডেস্কটপ ও ১০ টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
মঙ্গলবার (২৩ মে) সন্ধ্যায় মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শামীমা ইয়াসমীন এবং সহকারী কমিশনার( ভূমি) জাকির হোসাইন পৃথক দুটি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছেন- মধুপুর পৌর এলাকার কাইতকাই গ্রামের মো.শাহজাহান আলীর ছেলে সালমান খান(২২), মধুপুর সদরের ঝন্টু পালের ছেলে অনন্ত পাল(২১), একই এলাকার মেহেদী হাসান ফাহিম(২৩) ও ধনবাড়ী উপজেলার নরিল্যা গ্রামের মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে আশিকুর রহমান(২১)।
জানা যায়, উপজেলার পৌর এলাকার টাঙ্গাইল-জামালপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের নয়াপাড়া মসজিদের পাশে সাইফুল ইসলামের বাসা ভাড়া নিয়ে ওই যুবকরা ফ্রিল্যান্সিংয়ের ব্যবসার আড়ালে পর্নোগ্রাফির মতো অপরাধমূলক কাজ করতো। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মধুপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীমা ইয়াসমীন, সহকারি কমিশনার (ভূমি) জাকির হোসাইনের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে ওই চার যুবকে আটক ও তাদের ব্যবহ্যত ল্যাপটপ, কম্পিউটার, মোবাইল জব্দ করা হয়। এ সময় তাদের অফিস থেকে মাদকও উদ্ধার করা হয়। তাদের ব্যবহৃত অফিসটি সিলগালা করা হয়। ভ্রাম্যমান আদালত পর্নোগ্রাফি ও মাদক রাখার অপরাধে তাদের প্রত্যককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করে। পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়।
উল্লেখ্য, উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় বাসা ভাড়া নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে ফ্রিল্যান্সিংয়ের নামে উঠতি বয়সের যুবকরা রাত জেগে ইন্টারনেটের মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছে। ফ্রিল্যান্সিংয়ের আড়ালে পর্নোগ্রাফির মাধ্যমে লাখ-লাখ টাকা উপার্জনে মেতে উঠে তারা। রাতভর তাদের ছুটাছুটি ও মাদক খেয়ে চিল্লাচিল্লিতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে স্থানীয়ারা। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে ফ্রিল্যান্সিং, মাদক গ্রহন ও পর্নোগ্রাফির। স্থানীয় প্রশাসন এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পৌর এলাকার একটি বাসায় অভিযান চালালে বেড়িয়ে আসে ফ্রিল্যান্সিংয়ের নামে পর্নগ্রাফির ব্যবসা ও মাদক সেবনের চিত্র।