বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুকে পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে এই দাবি জানায় তারা। পোস্টে বলা হয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকাশ্যে ছাত্রলীগের সাবেক নেতা শামিম আহমেদকে পিটিয়ে হত্যা করেছে ছাত্র নামধারী কিছু বহিরাগত, যারা সবাই ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। কীভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সামনে এ রকম ঘটনা ঘটতে পারে? আমরা এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাই আর একই সঙ্গে ভিডিও ফুটেজ দেখে জড়িত সকলকে গ্রেপ্তারের দাবি জানাই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও একটি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, একইভাবে পিটিয়ে একজনকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা সকল হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতনের বিচার চাই। এভাবে দেশে আর অরাজকতা চলতে পারে না। ঢাবির হলে পিটিয়ে হত্যা : আজই প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ এর আগে বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টায় শিক্ষার্থীরা গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করার পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমেদের মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর আটক করে গণস্বাস্থ্য মেডিকেল কলেজে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আশুলিয়া থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিকি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিস থেকে আমাদের অবহিত করলে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করি। এরপর গাড়িতে তুলে চিকিৎসার জন্য গণস্বাস্থ্য মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পথিমধ্যেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করছি।
শামীম মোল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৯ ব্যাচের ইতিহাস বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের জুয়েল-চঞ্চল কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন৷ শামীম বিশ্ববিদ্যালয় ও এর আশপাশের এলাকায় মাদক সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ, জমিদখল, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও রয়েছে। গত ১৫ জুলাই রাতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় সে সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রান্তিক গেটসংলগ্ন একটি দোকানে অবস্থান করছিলেন শামীম মোল্লা। তার অবস্থানের খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী সেখানে গিয়ে তাকে আটক করে গণধোলাই দেয়। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম উপস্থিত হয়।
একপর্যায়ে নিরাপত্তা কর্মীদের সহায়তায় তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখায় নিয়ে আসা হয়। সেখানেও উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা তাকে পুনরায় গণধোলাই দেয়। এ ঘটনার পর প্রক্টরিয়াল টিমের খবরে আশুলিয়া থানা পুলিশের একটি দল নিরাপত্তা শাখায় আসে। এ সময় পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল টিম শামীমকে ১৫ জুলাই রাতে উপাচার্যের বাসভবনে হামলার ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। শামীম মোল্লা হামলার ঘটনায় নিজের অংশগ্রহণ ও ঘটনাস্থলে হামলাকারীদের সঙ্গে ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষক মেহেদী ইকবাল উপস্থিত থাকার কথা স্বীকার করে।