সাজ্জাদ হোসেন সাজু(বিশেষ প্রতিনিধি)
ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস পালন করা হয়েছে।
প্রতিবছর ১৮ ডিসেম্বর বিশ্বব্যাপী পালন করা হয় দিবসটি। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে দিবসটি পালন করা হয়।
এবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপনের বছরে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে- ‘শতবর্ষে জাতির পিতা সুবর্ণে স্বাধীনতা/ অভিবাসনে আনবো মর্যাদা ও নৈতিকতা।দিবসটি পালন উপলক্ষে চরভদ্রাসন উপজেলা হলরুমে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ কাওছার সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানজিলা কবির ত্রপা। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন,বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ, সাদিয়া আফরোজ প্রজেক্ট অফিসার
ওকাপ, চরভদ্রাসন প্রেসক্লাব সভাপতি মেজবাহ উদ্দিন,
বক্তারা বলেন, অভিবাসী শ্রমিকরা যেন কোন ধরনের শোষণ, বঞ্চনা ও হয়রানির শিকার না হয় তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে।
আমাদের অভিবাসী কর্মীরা দেশের জন্য আয় করছেন বৈদেশিক মুদ্রা বা রেমিটেন্স, অবদান রাখছেন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে। অবকাঠামো উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে তারা দেশের সুনাম বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিচ্ছেন।
এবারের অভিবাসী দিবসের প্রতিপাদ্য-“শতবর্ষে জাতির পিতা সুবর্ণে স্বাধীনতা/ অভিবাসনে আনবো মর্যাদা ও নৈতিকতা’- অত্যন্ত অর্থবহ ও সময়োপযোগী হয়েছে বলে তারা মনে করেন।
বক্তারা এ সময় বলেন, বৈশ্বিক শ্রম বাজারে কোভিড-১৯ এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ায় অনেক অভিবাসী ইতোমধ্যে দেশে প্রত্যাবর্তন করেছেন। এ পর্যন্ত প্রায় ৩ লাখ প্রবাসী কর্মীকে বিশেষ ব্যবস্থাায় -সুরক্ষা- এ্যাপসের আওতায় এনে ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে।
সংখ্যার দিক দিয়ে বিশ্বের ষষ্ঠ সর্বোচ্চ স্থানে থাকা বাংলাদেশের অভিবাসীরা দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের অষ্টম সর্বোচ্চ রেমিটেন্স গ্রহণকারী দেশ। স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত অভিবাসীরা ২৪৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি রেমিটেন্স পাঠিয়েছে-যা এদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন বড় ভূমিকা রেখেছে।