জিএম মামুন স্টাফ রিপোর্টার:
কালিগঞ্জ ধলবাড়িয়া ইউনিয়নে কামারগাতী গ্রামে সাবেক গ্রাম পুলিশ নাসিরের ভাড়াটিয়া বাড়িতে দুই সন্তানের জননী রেশমা খাতুন গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
সোমবার ৪ জুলাই রেশমা খাতুনের স্বামী ইসলাম গাজীর বরাতে জানা যায়। রেশমা খাতুনের প্রথমে বিয়ে হয় কালিগঞ্জ উপজেলার গাজীকাটি গ্রামে আলমগীর হোসেনের সাথে। তার প্রথম ঘরে হোসাইন (৪) নামে একটি পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করে। পরবর্তীতে কালিগঞ্জ উপজেলার ধলবাড়িয়া ইউনিয়নের গোবিন্দকাটি গ্রামের শাহাবাজ মিস্ত্রীর ছেলে ইসলাম গাজীর সাথে প্রেমের সম্পর্কে গড়ে ওঠে এক পর্যায়ে বিয়ে হয়। (ইসলাম রেশমা) দম্পত্তির তিন মাসের একটি পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করেন। রেশমার স্বামী ইসলাম আরো জানান কামারগাতি গ্রামের সাবেক চৌকিদার নাসিরের বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে বাসা ভাড়া থাকি। সেকেন্দার নগর চৌমুহনী বাজারে আমার চায়ের দোকান বন্ধ করে। আনুমানিক রাত ১০টা সময় বাসায় আসি। এবং দুইজনের ভিতর একটু মন কষাকষি কারণে আমি ভাত না খেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে আমার নিজের বাড়িতে বড় স্ত্রীর ওখানে চলে যায়। এবং রুমের ভিতর থেকে দরজা ছিটকিনি লাগিয়ে আমার তিন মাসের পুত্র সন্তানকে রেখে ছোট স্ত্রী রেশমা খাতুন আত্মহত্যা করেছে। আমি প্রতিদিনের ন্যায় সকালে চায়ের দোকানে আসি এবং এলাকাবাসী আমাকে জানাই ছোট স্ত্রী রেশমা খাতুন আত্মহত্যা করেছে।
ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুর রব থানায় জানালে তাৎক্ষণিকভাবে এএসআই খলিলের নেতৃত্বে একটি চৌকস টিম লাশের সুরত হাল রিপোর্ট করে লাশ থানায় নিয়ে যান।
রেশমা খাতুনের মৃত্যু নিয়ে এলাকাবাসীর ভিতরে ব্যাপক গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে। এটা হত্যা, না আত্মহত্যা গলায় রশি দিয়ে মাটিতে বসে কেমন করে মৃত্যু হয়। এমনটাই বলছিলেন এলাকার সচেতন মহল পুরো মৃত্যুটা রহস্যজনক মনে করেন এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন রহমানের কাছে মুঠো ফোনের মাধ্যমে জানতে চাইলে তিনি জানান। আমরা রেশমার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছি। এবং তার স্বামী ইসলাম গাজীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে এসেছি। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত কিছুই বলা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড হয়েছে।