কালীগঞ্জে দি ঢাকা মার্কেস্টাইল কো-অপারেটিভ ব্যাংকের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ

জিএম মামুন নিজস্ব প্রতিনিধি

মাছ না পেয়ে ছিপে কামড় এমনটাই ঘটেছে সাতক্ষীরার কালীগঞ্জে “দি ঢাকা মার্কেন্টাইল কো-অপারেটিভ ব্যাংক লিমিটেড। ব্যবসায়ী গ্রাহকদের মোটা অংকের ঋণ দিয়ে। অবশেষে আদায় না করতে পেরে জামিনদারদের মামলায় ফাঁসানোর পায়তারা চালাচ্ছে ব্যাংক কর্মকর্তারা। এমনটাই অভিযোগ উঠেছে ঢাকা মার্কেন্টাইল-কো অপারেটিভ ব্যাংক লিমিটেড এর বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী চরপানিয়া গ্রামের মোঃ জমাত আলির পুত্র রাইসুল ইসলাম জানান কালিগঞ্জ পিরোজপুর সরকারি খাস জমিতে বসবাস করে মানবতার দিন যাপন করছিলেন তিনি। এলাকাভিত্তিক কিছু ভাঙ্গারি ফেরিওয়ালাদের পরামর্শে রাইসুল ইসলাম এবং তার স্ত্রী নার্গিস সুলতানা দুইজন  মিলে ভাঙ্গারি ব্যবসায়ীদের  কাছ থেকে মালামাল কিনতে শুরু করেন। এবং ব্যবসায়ী সুবাদে পরিচয় হয় পূর্ব মৌতলা গ্রামের রসুলত মোল্লার পুত্র পুরাতন মেশিনারি ব্যবসায়ী রেজানুর মোল্লার সাথে এবং ব্যবসায়ী সম্পর্ক থাকার কারণে।

দি ঢাকা মার্কেস্টাইল কো-অপারেটিভ ব্যাংক লিমিটেডের কর্মকর্তা রবিউল ইসলামের যোগসাজে রেজানুল ইসলামকে মাত্র ২ লক্ষ টাকা ঋণ দেওয়ার কথা বলে অশিক্ষিত রাইসুল ইসলামের কাছ থেকে ব্যাংক কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম এবং রেজানুর ইসলাম ব্যবসায়ী বন্ধুত্বের কারণে রাইসুল ইসলামের নিজ প্রতিষ্ঠানের নামে ইসলামী  ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড একাউন্ট “নাঈম ট্রেডার্স”যার হিসাব নাম্বার-২০৫০৩৩৬০১০০১৯৩৯০২  জামিনদার হিসেবে চেক বইয়ের তিনটি পাতা সংগ্রহ করেন। এবং রাইসুল ইসলামের নামে মামলা করার জন্য একটি চেক ডিজনার করেছেন যার নাম্বার-DB-৫১৬০৫৩১

জামিনদার হিসেবে রেজানুরের আপন বোন(১) মোছাঃ রাইমা পারভীন, রেজানুর ইসলামের আপন ছোট ভাই (২)মোল্লা আবু রাজন এবং (৩) রাইসুল ইসলামের সাথে লুকোচুরির মাধ্যমে কৌশলের রেজানুল ইসলামকে ১৬ লক্ষ ২৪ হাজার টাকা ঋণ প্রদান করেন ব্যাংকটি। পরবর্তীতে রেজানুর অল্প কিছুদিন  কিস্তির মাধ্যমে ঋণ দেওয়ার পরে ব্যাংকে টাকা পরিশোধ না করে গোপনে পরিবার সহ রেজানুর ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের মালামাল বিক্রি করে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। এক নম্বর জামিনদার রাইমা পারভিনকে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আইনের আওতায় না এনে দুই নম্বর জামিনদার রাজন মোল্লাকে বিজ্ঞ আমলী ২নং আদালত সাতক্ষীরা (সি আর (৩৬৮/২৪)১৬/৫/২০২৪ তারিখে মামলা অজু হয়। এবং বারবার তৃতীয় জামিনদার রাইসুল ইসলামের কাছ থেকে টাকা আদায়ের জন্য বিভিন্ন হুমকি ও মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা পরিশোধ করতে পাইতারা চালাচ্ছে। অন্যথায় রেজাউনুল ইসলামকে সন্ধান দিতে বলছে। রাইসুল ইসলাম নিজের অর্থ খরচের মাধ্যমে মংলা বন্দরে রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী হিসেবে রেজাউল ইসলামকে পাওয়া যায়। পরবর্তীতে ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে জানালেও ব্যাংক কর্মকর্তারা। বারবার অসহায় রাইসুল ইসলামকে মামলা করার হুমকি দিচ্ছে।
এ বিষয়ে ব্যাংক কর্মকর্তাদের সাথে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কর্মকর্তারা বলেন জামিনদার হিসেবে আমরা রাইসুল ইসলামকে কে মামলা দিতে পারি। উপর আরেকটি প্রশ্নের জবাবে ব্যাংক কর্মকর্তারা বলেন ঘাড় টানলে মাথা আসে এজন্য আমরা রেজানুর কে বাদ দিয়ে রাইসুল ইসলামের নামে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান তিনি। ইতিমধ্যে আমরা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ রিয়াদ আল রায়েবি বাদী হয়ে রাইসুল ইসলামের নামে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশ জারি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে রাইসুল ইসলাম বলেন রেজানুল ইসলাম দি ঢাকা মার্কাটাই কো অপারেটিভ ব্যাংক লিমিটেড থেকে ঋণ নিয়েছে। এবং   পরিশোধ করার দায়িত্বটা তার কিন্তু  তাকে কিছু না বলে আমাকে কেন বারবার মামলার হুমকি দিচ্ছেন ব্যাংক কর্মকর্তারা।