জিএম মামুন বিশেষ প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার দুদলী গ্রামে প্রাক্তন ইউপি সদস্য নেতৃত্বে তার বাড়িতে জমি জমার বিচার চলাকালীন আপন দুই চাচার এলোপাতারি কিল ঘুসির আঘাতে ভাইপোর দুইটি চোখ রক্তাক্ত জখম নীলা ফুলা করার পরে পালিয়ে যায় দুই চাচা।
শনিবার ৭ জানুয়ারি দুপুর ১২ টায় কালীগঞ্জ উপজেলার মথুরেশপুর ইউনিয়নের দুদলী গ্রামের প্রাক্তন ইউপি সদস্য জিএম ইলিয়াস সাহা সোনালীর নেতৃত্বে তার নিজের বাড়িতে পেশাদারিত্ব বিচারের ব্যবস্থা করেন। জমির মালিক সুন্নত গাজী জানান, শরিক সূত্রে আমি আমার বাড়ির পাশে ৬ শতক জমি কিনে দখল করে আসছিলাম। হঠাৎ আমার নিজের ভাই আবুল গাজী শরীকের অন্য লোকদের কাছ থেকে আমার দখল কৃত জমি ক্রয় করেছে। এমন একটি প্রচার দিয়ে আমাকে বছরের পর বছর হয়রানি করতে থাকে। এই জমি নিয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা করি এবং আদালত আমাকে জমির সঠিক মালিক হিসেবে রায় দেয়। অথচ আমার দুই ভাই আবুল গাজী, গোলাম গাজী দিনের পর দিন হয়রানি এবং ৮ মাস আগে গোলাম গাজী, আবুল গাজী, আমাকে ঘুষি মেরে একটি চোখ রক্তাক্ত করে দেয়। আমি দীর্ঘদিন কালিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ে ভর্তি ছিলাম এবং আদালতে মামলা চলমান। এবং আবুল গোলাম বিভিন্ন সময় বলতে থাকে তোদের বাপ ছেলের চোখ উঠায়ে নেব। জমির এবং ভাই ভাই মীমাংসার কথা বলে সাবেক ইউপি সদস্য ইলিয়াস সোনালী তার নিজ বাড়িতে বিচার দরবার বসায়, বিচারের শেষ মুহূর্তে আমার ছোট ভাই আবুল গাজী, গোলাম গাজী, হঠাৎ করে। আমার বড় পুত্র জিএম জাহাঙ্গীর হোসেনের চোখে কিল ঘুসি মারতে থাকে। এক পর্যায়ে আমার ছেলে জাহাঙ্গীর জ্ঞান হারালে দুইটা নষ্ট করে দিয়েছি বলে আস্ফলন করতে থাকে, আবুল গাজী, গোলাম গাজী। এরপরে আমাকে ধরে মাটিতে ফেলিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মারতে থাকে। বর্তমান আমার পুত্র জাহাঙ্গীর হোসেন দুইটি চোখ সম্পূর্ণ ফেটে দৃষ্টিহারিয়ে রক্তের আবরণে ঢেকে আছে। এবং চিকিৎসার জন্য জাহাঙ্গীর হোসেনকে কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দুইটি চোখের অবস্থা খুবই আসংখ্যা জনক। কর্তব্যরত চিকিৎসক সাথে সাথে জাহাঙ্গীর হোসেন কে কালীগঞ্জ হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে রেফার্ড করেন। বর্তমান আমার ছেলে দুইটি চোখ দৃষ্টিহারা এবং মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
বিচারের বিষয়ে প্রাক্তন ইউপি সদস্য জিএম ইলিয়াস সোনালীর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান ভাই ভাই জমি জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিনের সমস্যা সমাধান করার জন্য আমি বিচার ডেকেছিলাম কিন্তু বিচারের শেষ মুহূর্ত ে আবুল গাজী এবং গোলাম গাজী, তার ভাইপো ও ভাইকে প্রচন্ড মারধর করেছে।
এ বিষয়ে মথুরেশপুর ইউনিয়নের ০৮ ওয়ার্ডের দুদলী বর্তমান ইউপি সদস্য জিএম আব্দুল জলিলের কাছে তিনি জানতে চাইলে তিনি বলেন। আমি বিচারের বিষয়ে কিছুই জানিনা। প্রাক্তন মেম্বার সাহেব ইলিয়াস শাহ সোনালী ভাই আমাকে কিছুই জানান নি। বিষয়টা নিয়ে আমি দুঃখ প্রকাশ করছি তবে চোখ মানুষের অমূল্য সম্পদ এমন ঘটনা, এমন বিচার, আমি ধিক্কার জানাই।