মেহেদী হাসান নিসানঃ-
সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য বিচ্ছিন্ন দ্বীপ মনপুরা উপজেলায় অপরাধীদের আতঙ্কের নাম ওসি সাঈদ আহমেদ। বিগত ২বছর যাবত অপরাধ নির্মূলে ছিনতাই, চুরি, ডাকাতিসহ নানা অপরাধ নিয়ন্ত্রণে ওসি সাঈদ আহমেদের ব্যাপক অবদান উঠে এসেছে স্থানীয় পত্রপত্রিকা ও সোশ্যাল মিডিয়ায়। জলদস্যুর বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করে ব্যাপক আলোচনায় এসেছেন বর্তমান ভোলা জেলাধীন মনপুরা উপজেলার ওসি সাঈদ আহমেদ। মোবাইল ফোন হারিয়ে যাওয়া ভুক্তভোগীদের সাধারণ ডায়রির প্রেক্ষিতে গতকাল ২ মে ২০২৩ ৩টি হারানো ফোন উদ্ধার করেন প্রকৃত মালিকের কাছে হস্তান্তর করেন ওসি মনপুরা। এছাড়াও তিনি বিকাশ বা নগদের মাধ্যমে প্রতারক চক্রদের আত্মসাতকৃত টাকা দুরদর্শিতার সাথে সাধারন মানুষের কাছে হস্তান্তর করেন। গত মাসেও জলদস্যুর আত্মসাতকৃত সাধারণ মানুষের প্রায় লক্ষাধিক টাকা ফ্রিজিং করেন যা বিজ্ঞ আদালতের মাধমে হস্তান্তর করার প্রস্তুতি গ্রহণ করে রেখেছেন । এছাড়াও জানা যায় থানায় গেলে যে কোন সাধারণ মানুষের কথা ওসি সাঈদ আহমেদ খুব ধৈর্য সহকারে শোনেন এবং যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন একনিষ্ঠতার সহিত।
বিষয়টি নিয়ে মনপুরা উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার সাথে আলাপকালে তিনি জানান, ওসি সাঈদ আহমেদ বিগত দুই বছর যাবত মাদক নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক অবদান রেখে এসেছেন,আমি তার সাফল্য কামনা করছি।
বিষয়টি নিয়ে ভোলার পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম বিপিএম.পিপিএম এর নিকট আলাপকালে তিনি বলেন ওসি সাঈদ আহমেদ অত্যন্ত দক্ষতার সহিত তার দায়িত্ব পালন করে আসছেন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণে ওসি সাঈদ খুবই দক্ষতার সাথে তার অর্পিত দায়িত্ব পালন করছেন। আমি সার্বক্ষণিক অপরাধ নির্মূল করতে ওসি সাঈদকে নির্দেশনা দিয়ে আসছি।।
উল্লেখ্য ভোলা জেলার মনপুরা থানার ওসি সাঈদ আহমেদ মাদক নিয়ন্ত্রণ,জলদস্যু নিয়ন্ত্রণ, প্রতারক চক্র দমন , বাল্যবিবাহ নিয়ন্ত্রণ, যৌতুক নির্মূলসহ নানা দূরদর্শীতার জন্য ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে ওসি মনপুরাকে প্রেসিডেন্ট পদক প্রদান করা হয়।