দৈনিক সময় ডেস্ক:
রাজশাহীতে চার পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজশাহী জেলার সিনিয়র স্পেশাল ও দায়রা জজ আদালতে বাদী হয়ে মামলাটি করেন রাজশাহী বারের আইনজীবী মো. সাদেক মিয়া। আদালত পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় আসামি করা হয়েছে জেলার বানেশ্বর পুলিশ বক্সের ট্রাফিক অফিসার অভিজিৎ সরকার (৪০), এএসআই সাইফুল ইসলাম (৩৮), দুর্গাপুর থানার পুলিশ কনস্টেবল হেলাল উদ্দিন (৫০) ও খোরশেদ আলম (৩৯)।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ২০ নভেম্বর দুপুর ১২টার সময় মামলার বাদী অ্যাডভোকেট মো. সাদেক মিয়া তার চাচাতো ভাই মেহেদী হাসানকে নিয়ে মোটরসাইকেলে কাজে বের হন। তারা দুর্গাপুর থানার মোড়ের ইসলামী ব্যাংকের সামনে ট্রাফিক পুলিশ তার মোটরসাইকেলের গতিরোধ করেন। ট্রাফিক পুলিশ মোটরসাইকেলের কাগজপত্র দেখতে চান।
এ সময় মামলার বাদী তার মোটরসাইকেলের বৈধ কাগজ প্রদর্শন করলেও আসামিরা বাদীর কাছে দুই হাজার টাকা দাবি করেন। বাদী নিজেকে আইনজীবী পরিচয় দিলে বাদী এবং পুলিশ সদস্যের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে বাদী ও আসামিদের মধ্যে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হলে আসামিরা বাদী ও তার ভাইকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে মোটরসাইকেল কেড়ে নেয়।
এজাহার অনুযায়ী আরও জানা যায়, বাদীকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে টেনেহেচড়ে থানায় নিয়ে হাজতে বন্ধ করে রাখা হয়। বাদী তার মোবাইল ফোনে দুর্গাপুর থানার ওসির সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে আসামিরা বাদীর মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। এলাকায় ঘটনাটি জানাজানি হলে সাধারণ লোকজন থানা ঘেরাও করেন। ফলে পুলিশ বাদীকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়।
মামলার বাদী অ্যাডভোকেট মো. সাদেক মিয়া বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে একজন আইনজীবীর সঙ্গে এমন আচরণ করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমি আমার পরিচয় দেওয়ার পর আসামি পুলিশরা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন। গত ২২ নভেম্বর আমি থানায় মামলা করতে গেলে দুর্গাপুর থানার ওসি তা গ্রহণ করেননি।
ঘটনার বিষয়ে দুর্গাপুর থানার ওসি হাসমত আলী বলেন, বিষয়টি ঘটনার দিনই সমাধান হয়ে গেছে। পুলিশ বা আইনজীবী কোনো পক্ষের কোনো অভিযোগ ছিল না। আর এই ঘটনার ব্যাপারে পরবর্তীতে তিনি আমার কাছে আসেননি। কী কারণে তিনি আদালতে মামলা করলেন তা বোধগম্য নয়।