ডি এম আব্দুল্লাহ আল মামুন, বিশেষ প্রতিনিধি: সুপার সাইক্লোন আম্ফান ঝড় হানা দিয়েছিল উপকূলে। এসময় পঞ্চাশোর্ধ্ব অসহায় দিনমজুর সমীর মোম এর একচালা ঘরের চাল তীব্র বাতাসে উড়ে গিয়েছিল। প্রাকৃতিক ঝড় ও জলোচ্ছ্বাস আমফান পানির স্রোতে ভেসে গেছে সবকিছু। মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে সমীর স্ত্রী ছেলে নিয়ে দিনরাত কেটেছে খোলা আকাশের নিচে একটা ছাবড়ার মধ্যে। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীদের আর্থিক সহযোগীতায় এবার পরিবার নিয়ে মাথা গোঁজার ঠাঁই হয়েছে অসহায় সমীর সোমের। রবিবার (১৬ অক্টোবর) সকালে সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগরে
সমীর সোম এর নতুন ঘরটি আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করে তাদের হাতে ঘরের চাবি উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।। ঘরটি পাথরের খুঁটি, কাঠ, টিন, সিমেন্ট শিট, ও মেঝে পাকা করে সম্পূর্ণ নতুন একটি ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। যাতে তিনি তার স্ত্রী ও ছেলে কে নিয়ে নিরাপদে নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারবেন। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীদের সহায়তায় মাথা গোজার ঠাই পেয়ে সমীর সোম তার অনুভূতি প্রকাশ করে জানান, আমি খুব গরীব, আইলায় আমার ঘরবাড়ি ভেঙ্গে যাওয়ার কারনে খুব কষ্ট করে খেয়ে না খেয়ে দিন পারছি। এখন একটি ঘর পেয়েছি এবং কামারী কাজ করার জন্য একটি জাতা ও তার সরঞ্জাম পেয়ে আমি খুব খুশি। নতুন ঘর পেয়ে অনূভুতি প্রকাশ করতে গিয়ে সমীর এর স্ত্রী জানান, যখন আইলা আসে তখন আমাদের ঘরটি ভেঙ্গে যায়। জুয়ারে বুক সমান পানিতে তলিয়ে যেত সব। আবার ভাটায় পানি শরে যেত এমন ভাবে চলতো দিন। বাধ বাধার পরে পানি বন্দ হলে খোলা আকাশের নিচে পলিথিন দিয়ে ছাবড়া মত বানিয়ে এতদিন সেখানে থাকতাম। এখন নতুন ঘর পেয়েছি এতো আনন্দ লাকছে বলে বুঝাতে পারবো না বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এটা আনন্দের কান্না অতি খুশির কান্না। সমীর সোম তার স্ত্রী এবং এক ছেলে নিয়ে তাদের তিন জনের সংসার। দিনমজুর সমীরের ছেলে স্থানীয় এপিএস কলেজে ইন্টার পড়ে। এই নতুন ঘরটি পেয়ে তারা অনেক খুশি।