ফয়জুল্যাহ্ এর কবিতা “মায়ের কবর যাত্রা”

ইপেপার / প্রিন্ট ইপেপার / প্রিন্ট

মায়ের কবর যাত্রা
~মোঃ ফয়জুল্যাহ্ হোসাইন

রাত্রে মা’মোর দিয়েছে সাড়া,
আল্লাহ মালিকের ডাকে।
দিয়েছে পাড়ি আমাদের ছাড়ি,
আপন মাটির বাঁকে।

- Advertisement -

কিছুক্ষণ ধরে নিরবে ঘুমায়,
কাঁদিয়া ডাকিয়া বেড়ায়।
মা’মোর ওঠেনা, ডাকেনা আমায়,
নাহি সে কান্না থামায়।

এমনি করিয়া কিছুক্ষণ রইলো,
জমিনে লুটাইয়া দেহ।
গোসল দেওয়ার আয়োজন চলছে,
জমা হয়ছে কেহ্ কেহ্।

মা’রে আমার ধরিয়া লইয়া,
গোসলে নিয়ে যায়।
পরাণ আমার ছিড়িবে বুঝি,
কাঁদিয়া পড়ি ধূলায়।

গরম পানি, বরুই পাতা,,
সুগন্ধি সাবান আনো।
বিদায় বেলার গোসল তাহার,
ট্রুটি থাকে না যেনো।

খাটিয়া বিছায়ে মা’রে আমার,
দিয়েছে তাতে সুয়াইয়ে।
পর্দার শহীদ ছয়জনে তাহার,
শেষ বারের মতো দিয়েছে ধূয়ায়ে।

গোসল শেষে কাফনে মোড়ায়ে,
সোনামুখ দিলো ঢেকে।
দূর থেকে যখন লোকজন আসে,
মুখ খানি তার দেখে।

এমনি করিয়া নয়-দশ ঘন্টা,
কাটিয়ে দিলো উঠানে।
নিরবে আমি কাঁদিয়া গিয়াছি,
বসিয়া তাহার সিতনে।

যোহরের নামাজ শেষ করিয়া,
নিয়ে যাবে মা’রে বাড়ি।
সোনামুখ খানি দেখিবো না আর,
চলে যাবে মোদের ছাড়ি।

খাটিয়া খানি কাদে লইয়া যখন,
করব পানে যাই।
অশ্রু সবার গড়িয়া পড়ছে,
নাহি যেন তার ঠাই।

জানাজা শেষে মা’রে আমি,
নিজ হাতে কবরে নামিয়ে।
কীবলামুখী মুখ করিয়া,
দিয়েছি তারে সুয়ায়ে।

তারপরে তে বাঁশের আতালি,
একে একে সাজিয়ে দিয়ে।
মা’রে আমার ঢাকিয়া দিয়াছে,
আপন মাটির তলে।

মাটি চাপা দিয়ে একে একে সবে,
চলে গিয়েছে তার গায়।
মা’জি আমার একলা ঘুমায়,
নিঝুম নিরালায়।

এসো হাত তুলি দোয়া করি সবে,
বাবা-মায়ের তরে।
আল্লাহ্ যেন সব বাবা-মায়ের,
বেহেস্ত নসিব করে।

এই বিভাগের আরও সংবাদ