ব্যার্থ ওসি শশীভূষণ থানা, চরফ্যাশনে সন্ত্রাসী তান্ডবে পথ অবরুদ্ধ ও নারী নির্যাতন।

ইপেপার / প্রিন্ট ইপেপার / প্রিন্ট
১৫

চরফ্যাশন প্রতিনিধিঃ-ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের খোরশেদ মাষ্টারের বাড়ীতে সন্ত্রাসী হামলা করে বাড়ীর পথ অবরুদ্ধ করে রাখেন স্থানীয় আলমপন্থি যুবদল নেতা মামুন ও তার অনুসারীরা। স্থানীয়ভাবে ফয়সালা না পেয়ে গত ৮/১২/২০২৪ তারিখ ভুক্তভোগী খোরশেদ মাস্টার বাদী হয়ে শশীভূষণ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন এবং সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে খোরশেদ মাস্টারের ছেলে সংবাদ সম্মেলন করেন।। পথ অবরুদ্ধ ও সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি বেশ কয়েকটি পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়া প্রশাসনের নজরে আসে এবং পরবর্তীতে শশীভূষণ থানা অভিযোগটি আমলে নিয়ে এসআই শ্যামল চন্দ্র দাসকে ঘটনাটি তদন্ত জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। উল্লেখিত ঘটনাটি এস আই শ্যামল চন্দ্র দাসের নেতৃত্ব ৯/১২/২০২৪ইং তদন্ত করেন। কর্তব্যরত পুলিশ তদন্তে করে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর কথিত যুবদল নেতা মামুনের নেতৃত্বে নজরুল ইসলাম ছোটন ওমোঃ কাইয়ুম গং একত্রিত হয়ে অভিযোগকারী খোরশেদ মাস্টারের স্ত্রী নাছিমা বেগমকে একা পেয়ে থানায় অভিযোগ ও সংবাদ সম্মেলন করার কারণে সন্ত্রাসী মামুন গং অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন এবং বেধড়ক মারধর করে গুরুতর আহত করেন। ভুক্তভোগের স্ত্রী আহত নাছিমা বেগম বর্তমানে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। ঘটনার ২৪ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত কোন আসামি গ্রেফতার করতে পারেনি শশীভূষণ থানা পুলিশ। চরফ্যশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত ডাক্তার জানান, নাসিয়া বেগমের শরীরে মারধরে ব্যাপক আঘাত রয়েছে, বার্ধক্য জনিত কারণে আরো দুই চার দিন লাগবে সেরে উঠতে।। বিষয়টি নিয়ে শশীভূষণ থানার অফিসার ইনচার্জ জানান, ঘটনাটি তদন্ত চলমান রয়েছে। খুব শীঘ্রই আসামিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত কর্মকর্তা এস আই শ্যামল জানান, পথ অবরুদ্ধের বিষয়টি আমি তদন্ত করে এসেছি পরবর্তী ঘটনাটি আমি শুনেছি তদন্তপূর্ব ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় বিএনপি সহ-সভাপতি মোঃ কামাল হোসেন জানান, সন্ত্রাসী কোন দলের নয়, মামুনের বিরুদ্ধে এ ধরনের কার্যক্রমের একাধিক অভিযোগ রয়েছে।।কয়েকদিন আগে আবু তাহের, আবু জাহেল,আবুল খায়ের নামক সাধারণ মানুষকে মারধর করেন মামুন গং। সন্ত্রাসী হামলা নারী নির্যাতন পথ অবরুদ্ধের বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত যুবদল নেতা মামুনের নিকট জানতে চাইলে,অভিযুক্ত মামুন সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে লাইন কেটে দেয়। উল্লেখ্য অভিযুক্ত মামুন মুলত একই এলাকার ইউনুস মাষ্টারের ছেলে। স্থানীয় এলাকা জানা যায় মামুন গং বিরুদ্ধে এলাকায় ব্যাপক নৈরাজ্য দখলবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকারের অভিযোগ রয়েছে।

প্রিয় প্রিয় পাঠক পুরো ঘটনাটি নিয়ে
চলছে আমাদের অনুসন্ধান দ্বিতীয় পর্ব চোখ রাখুন।

- Advertisement -

এই বিভাগের আরও সংবাদ