শ্যামনগর উপজেলায় অসকস সোসাইটির একুশে নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপন
বাংলাদেশ সেনা নৌ ও বিমান বাহিনীর অবসরপ্রাপ্তদের সংগঠন অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনী কল্যাণ সোসাইটি অসকস বাংলাদেশ শ্যামনগর উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে মহান একুশে নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া প্রীতিভোজ অনুষ্ঠিত।মুক্তিযুদ্ধের অগ্রযাত্রা ও বিজয়ের স্মারক হিসেবে প্রতি বছর ২১ নভেম্বর “সশস্ত্র বাহিনী দিবস” পালন করা হয় ।তারই ধারাবাহিকতায় অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনী কল্যাণ সোসাইটি অসকস বাংলাদেশ সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে দিনটির তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা সভা দোয়া অনুষ্ঠান ও প্রীতি ভোজের আয়োজন করা হয়।উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক মোঃ ফরিদ উদ্দিন অবঃ সভাপতি অসকস সাতক্ষীরা জেলা।উক্ত অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন আলহাজ্ব জি এম লুৎফুর রহমান অবঃ সভাপতি শ্যামনগর উপজেলা।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার ওয়াদুদ হাসান অবঃ সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার শাহজাহান খান অবঃওয়ারেন্ট অফিসার মোস্তফা কামাল অবঃ ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবুর রহমান অবঃ ওয়েরেণ্ট অফিসার আব্দুর রশিদ অবঃ ওয়ারেন্ট অফিসার মোঃ ইদ্রিস আলী অবঃ সহ শ্যামনগর উপজেলা সকল সেনা নৌ ও বিমান বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য ও পরিবারবর্গ।অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জনাব মোঃ সারোয়ার হোসেন অবঃ এসএমসি।অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন ওয়ারেন্ট অফিসার মোঃ মোস্তফা কামাল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আলহাজ্ব লুৎফর রহমান সভাপতি শ্যামনগর উপজেলা। পরে উপদেষ্টা মন্ডলী গণ ১৯৭১ সালের শহীদদের স্মরণ করে বক্তব্য রাখেন। প্রধান অতিথি তার বক্তব্য ১৯৭১ সালের মুক্তিবাহিনী সর্ব অধিনায়ক আতাউল গনি ওসমানী সহ সকল শহীদদের স্মরণ করেন। পরে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের এই দিনে সেনা নৌ ও বিমান বাহিনীর সমন্বয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে গঠিত হয় বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী। বিগত কয়েক বছর ধরে অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনী কল্যাণ সোসাইটি শ্যামনগর উপজেলা সহ বাংলাদেশের সকল উপজেলা ও জেলায় অনুষ্ঠানিক ভাবে এই দিবসটি পালন করে আসছে। এই উপলক্ষে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা সেনা প্রধান বিমান ও নৌ বাহিনীর প্রধানগণ পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন। পরে দেশের কল্যাণ সমৃদ্ধি উত্তরোত্তর অগ্রগতি কামনা করে শহীদদের স্মরণ করে মোনাজাত করা হয়। পরে প্রীতি ভোজের আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান সমাপ্তি হয়।