গোপালপুর স্মৃতিসৌধ নিয়ে জামাত নেতা বকুলের ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধাদের আন্দোলনের হুমকি
গোপালপুর স্মৃতিসৌধ নিয়ে জামাত নেতা বকুলের ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধাদের আন্দোলনের হুমকি।
শ্যামনগর থেকে
বিশেষ প্রতিনিধি।
মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত স্বাধীনতার মাস, বিজয়ের মাস মার্চ মাস । ১৯৭১ সালে ২৬ শে মার্চ পাকিস্তান হানাদার বাহিনীএবং দেশি দোসর আলবাদর রাজাকার স্বাধীনতা বিরোধীদের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের মাস।
লক্ষ লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রম ও এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা।
প্রসঙ্গ জামায়াত নেতা সিদ্দিকুল ইসলাম বকুলের উদ্ধতপূর্ণ বক্তব্য, গোপালপুর স্মৃতিসৌধ আমার টাকায় তৈরি, স্বাধীনতার মাসেএমন উদ্ধতপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদে ফুসে উঠেছে শ্যামনগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড ও স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি।
মঙ্গলবার (২১ মার্চ) বেলা ১২টায় ওই বক্তব্যের ঘটনায় তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে মতবিনিময় করেছেন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের নেতারা। এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ আক্তার হোসেন বিষয়টি দ্রুততার সাথে খতিয়ে দেখবেন বলে তাদেরকে আশ্বস্ত করেন।
এ সময় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের নেতারা বলেন, জামায়াত নেতা সিদ্দিকুল ইসলাম বকুল গোপালপুরের স্মৃতিসৌধ তৈরি করার জন্য কার কাছে টাকা দিয়েছে সেটা সুস্পষ্টভাবে বলতে হবে।
তারা আরো বলেন, প্রয়োজনে আমরা ব্যক্তিগতভাবে টাকা দিয়ে আবার স্মৃতিসৌধ তৈরি করব কিন্তু জামায়াত নেতার টাকায় তৈরি স্মৃতিসৌধে আমরা ২৬ মার্চ পুষ্প অর্পণ করতে যাব না।
মতবিনিময়কালে মুক্তিযোদ্ধা নেতারা আগামী ২৫ মার্চের মধ্যে এ ঘটনার তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা দেবী রঞ্জন মন্ডল, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদ, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধ আবুল হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মুজিবুর রহমান, সাংবাদিক আনিসুজ্জামান সুমন, সাংবাদিক মোহাম্মদ আলী, সাবেক ছাত্রনেতা শেখ আব্দুস সালাম ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সদস্যরা।
উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ শ্যামনগরের আদি যমুনা নদী খননে অনিয়মের অভিযোগে গণমাধ্যম কর্মীরা কাচড়াকাটি গ্রামের শ্যামনগর ফিলিং স্টেশন এলাকায় তথ্য সংগ্রহ করাকালে কয়েক জন সাংবাদিকদের সাথে অসদাচরণ, উপজেলা প্রেসক্লাব ও গোপালপুর স্মৃতিসৌধ নিয়ে উল্লিখিত বক্তব্য দেন জামায়াত নেতা সিদ্দিকুল ইসলাম বকুল।