কালীগঞ্জে পতিতা দালাল আইয়ুব আলীর বাড়িতে চলছে দেহ ব্যবসা : খুটির জোর কোথায়
স্টাফ রিপোর্টার: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের মহৎপুরে পতিতা দালাল আইয়ুব আলীর বাড়ি পুলিশে হানা দিলেও সেই বাড়িতে পুনোরায় আবারও চলছে রমরমা দেহ ব্যবসা। উপজেলার কুশুলিয়া ইউনিয়নের মহৎপুর গ্রামের জোবেদ আলীর ছেলে আইয়ুব আলী (৩৬) স্থানীয় গ্রামবাসী ও পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে তার নিজ বাড়িতে আবারো চালিয়ে যাচ্ছে এসব অপকর্ম।
স্থানীয় গ্রামবাসী অনেকে জানান, আইয়ুব আলীর বাড়িতে আবারও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অল্প বয়সের মেয়ে নিয়ে এসে চালিয়ে যাচ্ছে দেহ ব্যবসা । খদ্দেরদের সাথে আইয়ুব আলী বলছে পুলিশের হাতে আটক মর্জিনা খাতুনকে (২৩) বাদ দিয়ে আবারও নতুন বিয়ে করে মিনি পতিতলা স্থাপন করেছেন। তার নতুন স্ত্রীকে দেখার জন্য বাড়িতে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে তাদের । বিয়ের ভুয়া কাবিন করে আগত মেয়েদের দিয়ে দেহ ব্যবসা করানোই মুল পেশায় পরিনত হয়েছে আইয়ুব আলীর। এসব ভূয়া কাবিনধারী মেয়ারা অর্থের লোভে দেহ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে দেহ ব্যবসা চালিয়ে আসলেও তার কৌশলের কাছে অসহায় হয়ে পড়েছে পুলিশ।
এদিকে আইয়ুব আলীর বাড়িতে নারীসহ এক খদ্দেরকে আটক করে বিপাকে পড়েছে এলাকাবাসী। নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে তার স্ত্রীকে দিয়ে প্রতিবন্ধী মেয়েকে উত্ত্যক্ত ও লুটপাটের অভিযোগ এনে ১৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করে তার স্ত্রী মাজেদা খাতুন (৩৮)। এ যেন উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপানোর মতো অবস্থা। নির্বিঘ্নে যাতে তাদের বাড়িতে দেহ ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারে এজন্য নিরীহ এলাকাবাসীর প্রতি মিথ্যা অভিযোগ এনে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে বলে জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল।
এছাড়া সাতঘরিয়া পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার আরাফাত আলী এবং দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা ও দৈনিক আমাদের দেশ পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি সাংবাদিক জিএম মামুন ওই ঘটনার প্রতিবেদন করে দেহ ব্যবসায়ীদের রোষানলে পড়েছে। আইয়ুব আলীর প্রথম স্ত্রী মাজেদা খাতুন প্রতিনিয়ত ফোন করে এবং বিভিন্ন মাধ্যমে তাকে হুমকি প্রদান করে চলেছে। বুধবার (২৩ নভেম্বর) বিকালে (০১৮৮৭১৩৩৭৮৭) নাম্বার দিয়ে ফোন করে আইয়ুব আলীর স্ত্রী পরিচয় দিয়ে ওই প্রতিনিধিকে চাঁদাবাজির মামলা দিবে বলে হুমকি প্রদান করেন। তার সম্মান ক্ষুন্ন করার জন্য বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে দেহ ব্যবসায়ীরা। গত( ১৫ নভেম্বর)
সংবাদ প্রকাশের পরেও একই নাম্বার দিয়েও হুমকি প্রদান করেছিল তার স্ত্রী পরিচয় দানকারী মাজেদা খাতুন ।এবিষয়ে গত (১৫ নভেম্বর) থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন আরাফাত আলী।
উল্লেখ্য,মহৎপুরে আইয়ুব আলীরবাড়িতে উঠতি ও মধ্য বয়সী নারীদের নিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে রমরমা দেহ ব্যবসা। সে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সুন্দরী কম বয়সী নারীদের বাড়িতে রেখে দেহ ব্যবসার এই হাট বসিয়ে প্রতিনিয়ত কামিয়ে নিচ্ছেন হাজার হাজার টাকা। তবে বিভিন্ন স্থান থেকে নারীদের বাড়িতে আনার আগেই ওই ব্যবসায়ী ভুয়া কাবিন নামা করে স্ত্রী’র পরিচয় দিয়ে দেহ ব্যবসা চালিয়ে যান। তবে এই বিয়ে স্থায়ী হয় ৫-৬ দিন। প্রশাসনের হাত থেকে বাঁচতে ভুয়া কাবিন করেন তিনি।
দীর্ঘদিন ধরে তিনি আইন শৃংখলাবাহিনীর চোখ ফাকিঁ দিয়ে এ সমস্ত অপকর্ম করলেও থেকে গেছেন সবার আড়ালে। এসব ঘটনা জানার পরে ফুঁসে ওঠে এলাকাবাসী। (১৪ নভেম্বর) রাতে আশাশুনি উপজেলার গোদাড়া গ্রামের মোস্তফা মোল্লার মেয়ে মর্জিনা খাতুন (২৩) নামের এক কম বয়সী নারীকে তার বাড়িতে নিয়ে আসে । স্থানীয়রা খদ্দেরসহ মর্জিনা নামের ওই নারীকে আটক করে থানায় খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই পালিয়ে যায় ওই খদ্দের। তবে পুলিশ পৌঁছালে দেহ ব্যবসার কাজে নিয়ে আসা মর্জিনাকে নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী বলে পরিচয় দেয় আইয়ুব আলী।এমনকি তাদের বিয়ের কাবিন ও দেখান তিনি।
ভূয়া কাবিন বলে পুলিশ চ্যালেঞ্জ ছুড়ে ওই রাতেই আইয়ুব ও মর্জিনাকে থানা হেফাজতে নিয়ে যায়। তবে ১৫ নভেম্বর সকালে তাদের থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের জানানো হয় কাবিননামা সঠিক থাকায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।