চরভদ্রাসনে পদ্মার অবৈধ বালু সরবরাহ চলবে না ও মাদকব্যবসায়ী যে-ই হোক কোনো ছাড় নয়: নিক্সন চৌধুরী

ইপেপার / প্রিন্ট ইপেপার / প্রিন্ট
২৬৬

সাজ্জাদ হোসেন সাজু(বিশেষ প্রতিনিধি-)
ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলায় পদ্মা নদীর অবৈধ বালু বাণিজ্য ও তা সরবরাহ করা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন ফরিদপুর-৪ আসনের এমপি মজিবুর রহমান চৌধুরী (নিক্সন)। তিনি বলেন, গত ক’মাস ধরে উপজেলার পদ্মা ড্রেজিং বালু, বলগেইট ও ড্রেজার মেশিনে উত্তোলিত বালু এক শ্রেনীর অসাধু ব্যবসায়ী রমরমা বাণিজ্য করে চলেছেন। এসব ব্যবসায়ীরা দিনরাত বড় চাকা বিশিষ্ট লড়ী গাড়ী ও ট্রলি গাড়ী দিয়ে বালু সরবরাহ করে চলেছে। এতে গ্রামগঞ্জের রাস্তা-ঘাট বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে এবং বসবাসযোগ্য পরিবেশ বিষন্ন করে তোলেছে। এতে উপজেলার জনযাতায়াত চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। এছাড়া চলমান অবৈধ বালুবাহী গাড়ীর কারনে এলাকায় শব্দ দুষন হচ্ছে। ফলে অসুস্হ্য রুগী, শিশু ও বৃদ্ধদের শান্তি বিঘ্ন ঘটছে। তাই তিনি উপজেলার সমস্ত প্রকার অবৈধ বালুবাহী যান চলাচল ও বালু বাণিজ্য বন্ধ করে দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের কঠোর নির্দেশ দেন।

সেই সাথে মাদকব্যবসায়ীদের কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন। তিনি বলেন, ‘মাদকব্যবসায়ী যে-ই হোক না কেন, তাকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। কে কোন দল করে, কার কত ক্ষমতা, সেটা বড় বিষয় না।’সোমবার বিকেল ৩ টায় উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত থেকে তিনি এসব নির্দেশ দেন। উক্ত সভার সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানজিলা কবির ত্রপা। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ কাউছার, সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোঃ জিল্লুর রহমান ও চরভদ্রাসন থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ জিয়ারুল ইসলাম।

- Advertisement -

সভায় অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য দেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফরিদা বেগম, ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আজাদ খান, মোঃ ইয়াকুব আলী, মোঃ জাহাঙ্গীর কবির বেপারী, ফরহাদ হোসেন মৃধা ও স্হানীয় নেতা মোঃ আনোয়ার আলী মোল্যা প্রমূখ। বক্তারা উপজেলার আইন শৃঙ্খলা পরিস্হিতি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা করেন। সভায় প্রধান অতিথি বলেন, গত এক বছরকাল ধরে পদ্মা নদীর পার দিয়ে এবং বিভিন্ন মাঠী জমির উপরে ড্রেজিং বালু ফেলে রাখা হয়েছে। উক্ত বালু টেন্ডার নেওয়ার পর তিন মাসকাল সরবরাহ করা আইনগত বৈধতা থাকলেও অনেকেই টেন্ডার ছাড়াই বা টেন্ডার নিয়ে বছর জুড়ে বাণিজ্য করে চলেছে যা সম্পূর্ন বেআইনী। তাই তিনি সভায় উপস্হিত ইউএনও, ওসি এবং এ্যসিলেন্ডকে এসব অবৈধ বালু বাণিজ্য দ্রম্নত বন্ধ করার জন্য কঠোর নির্দেশ দেন।

এই বিভাগের আরও সংবাদ