নিয়ামতপুরে দুর্ঘটনা কবলিত সড়কের খানাখন্দ ভরাট করলেন বিএনপি নেতা বদিউজ্জামান

ইপেপার / প্রিন্ট ইপেপার / প্রিন্ট

নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার ছাতড়া থেকে শিবপুরের সড়কের নেহেন্দা নামক স্থানে বেশি কিছু খানাখন্দ সৃষ্টি হওয়ায় হরহামেশাই ঘটে সড়ক দুর্ঘটনা। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এই খানাখন্দেই দূর্ঘটনায় প্রাণ হারায় টুটুল বর্মন নামের এক যুবক। মোটরসাইকেল-টমটমের মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেল চালক টুটুল বর্মন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এ ঘটনায় মোটরসাইকেল পেছনে থাকা আরোহী দূর্জয় নামের যুবক গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। ঘটনার পরদিন শুক্রবার ঘটনাস্থলটি পরিদর্শন এবং সংস্কার করেন চন্দননগর ইউনিয়ন বিএনপি`র সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামান বদি সহ ইউনিয়ন বিএনপি`র ছাত্রদল,যুবদল সহ মেন দলের নেতাকর্মীরা। ঝাড়ু ও কুঁদাল এবং রাবিশ নিয়ে এই সময় সকলেই নেমে পড়েন খানাখন্দ ভরাট করতে।

এই সময় প্রতিবেদককে বদিউজ্জামান বদি বলেন, বৃহস্পতিবার মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় একজনের প্রাণ বিসর্জন দিতে হয়েছে। এটি কোনোভাবেই কাম্য না। বিগত ফ্যাসিস সরকারের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা শুধু ক্ষমতা এবং অর্থের পিছনে ছুটেছেন। তারা কখনোই জনদুর্ভোগ নিরসনে এগিয়ে আসেননি। এই যে একটা তাজা প্রাণ ঝরে গেল এই সড়কে এর দায়ভার কে বহন করবে। সচারাচর আমি এদিকে যাতায়াত করি না। বৃহস্পতিবার এই মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনাটি আমার বিবেককে সত্যি নাড়া দিয়েছে। আমি রাতে ঘুমাতে পারিনি।সকাল হতেই একবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। নিহত এবং আহত সন্তানদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। হর হামেশাই এই রাস্তায় সড়ক দুর্ঘটনা হয় তা জানতে পেরেছি। তাই নিজ উদ্যোগেই আমার ইউনিয়নের বিএনপি’র নেতা কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে খানাখন্দ গুলো ভরাট করার জন্য সড়কে উপস্থিত হয়েছি। আরেকটি এভাবে অকাল মৃত্যু যাতে না হয় সেজন্য আগামীতেও আমরা কাজ করে যাব। এই প্রাণ হয়তোবা কখনো আর ফিরে পাবেনা তার পরিবার। কিন্তু আগামীতে যাতে করে আর কোন পরিবারের বুক খালি না হয় সেজন্য কাজ করে যাবো।

- Advertisement -

এ সময়ে রাস্তার একজন যানবাহন চালকের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, কিছুদিন আগেও এখানে প্রায় চারটি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। পুরো রাস্তাটাই খানাখন্দে ভরপুর। বৃহস্পতিবার একজন মারা গিয়েছেন এখানে। বিগত দিনে যারা ক্ষমতায় ছিলেন তারা কখনো এই বিষয়গুলো সংস্কার করেননি। আজ বিএনপি’র নেতাকর্মীরা একটু দেরি হলেও এগিয়ে এসেছেন এটাই কয়জন বা করে। নিঃসন্দেহে একটি মহৎ কাজ। আগামীতে আর কোন সড়ক দুর্ঘটনা ঘটবে না এটাই কামনা করি।আমরা সব সময় সড়কে থাকি। যানবাহন চালিয়েই নিজের পরিবারের রুটি রোজির বন্দোবস্ত করি। রাস্তাগুলো মেরামত হলে সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি অনেকাংশে কমবে।

এই বিভাগের আরও সংবাদ