সাভারের বিরুলিয়ায় সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম মাহমুদুল হাসান আলালের কবর জিয়ারত ও দোয়া মোনাজাত

ইপেপার / প্রিন্ট ইপেপার / প্রিন্ট
২৪

রাকিবুল ইসলাম রঞ্জু:সাভার থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বিরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম মাহমুদুল হাসান আলাল এর পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পারভেজ মল্লিক। এসময় তিনি মরহুমের ছোট ভাই বিরুলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক মোঃ আনোয়ার হোসেন ও তার পরিবার এবং স্থানীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে কবর জিয়ারত করে মরহুমের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মোনাজাত করেন।গতকাল শনিবার বিকেলে মরহুম মাহমুদুল হাসান আলাল এর নিজ বাসভবনে তার কবর জিয়ারত করে তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মোনাজাত করেন যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরে আসা এই বিএনপি নেতা। উল্লেখ্যপ্রায় দেড় দশক আগে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন পারভেজ মল্লিক; তিনি ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’বারের নির্বাচিত ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি। ওই সময় ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা সাভারের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন মাহমুদুল হাসান আলাল। চার বছর আগে আলাল মারা যান। স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সরকারের আমলে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরে সতীর্থকে শেষ দেখাও দেখতে পারেননি পারভেজ মল্লিক। তবে দখলদার সরকার পতনের পর পরিবর্তীত পরিস্থিতিতে দেশে ফিরে সহযোদ্ধার বাড়ি গেলেন তিনি। প্রয়াতের বাড়ি গিয়ে জানালেন সমবেদনা, কবর জিয়ারত করে করলেন দোয়া। এভাবেই সতীর্থের টানে এসে গড়লেন রাজনৈতিক বন্ধনের নজির।শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সাভারের বিরুলিয়ায় আসেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান যুক্তরাজ্য বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পারভেজ মল্লিক। এ সময় পরিবারের সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেন তিনি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি করাকালীন সাভার বিএনপির সভাপতি আলাল চেয়ারম্যানের সর্বাত্মক সহযোগিতা পেতেন বলে জানান পারভেজ মল্লিক। কথা বলতে গিয়ে বারবার আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি।পারভেজ মল্লিক বলেন, শুধু রাজনৈতিক কারণে নয়, সম্পর্কের জায়গা থেকে এসেছি এখানে। যখন ছাত্র রাজনীতি করেছি আলালও রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। জাবিতে প্রেসিডেন্ট থাকার সময় আলাল ছিল বিরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। আজীবন দলের জন্য ছিলেন অত্যন্ত নিবেদিত। বিজয় দিবস হলে সবাই জানতো ‘মাহমুদুল হাসান আলাল’ কে? দীর্ঘ ১৪ বছর প্রবাসে কাটানোর সময় বাবা-মাকে হারিয়েছি। আর সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু আলালকেও হারিয়েছি। কোভিডের সময় সবাই যখন অসহায়, সে তখন এখানে ব্যাপক আকারে ত্রাণ দিয়েছে, সহযোগিতা করেছে। তার যেদিন মৃত্যু হয় হৃদরোগে, তার আগের দিনও কথা হয়েছে। আমরা পরিকল্পনা করতাম কিভাবে এগিয়ে যাব। দেশে ফিরে যাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চেয়েছি, তাদের মধ্যে আলাল চেয়ারম্যান অন্যতম। আমি বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত করেছি। এরপর বন্ধুর কবর জিয়ারত করেছি। তার দুই সন্তান আমার নিজেরই যেনো সব। তারা আমার নিজেরই পরিবার, বলেন পারভেজ মল্লিক।

এই বিভাগের আরও সংবাদ