সড়ক নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ

ইপেপার / প্রিন্ট ইপেপার / প্রিন্ট
২৩৭

সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ৯ নম্বর ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের দহাকুলার মোড় থেকে পূর্ব পাড়া পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ কাজে নিম্নমানের ইট-খোয়া-বালু ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। রাস্তায় এমন নিম্নমানের কাজ হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেন দেখেও দেখছে না।

এতে স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের দহাকুলার মোড় থেকে পূর্বপাড়া পর্যন্ত দুই কিলো মিটার রাস্তা সংস্কার করার জন্য ৭৪লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।

- Advertisement -

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইমান আলী সাহেব নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি করছেন।
সরেজমিন গিয়ে ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রাস্তার বিভিন্ন অংশে নিম্নমানের ইটের খোয়ার ওপর প্রাইমকোর্ট দিয়ে তার ওপর কার্পেটিং করা হচ্ছে।

যেদিন থেকে রাস্তায় প্রাইমকোর্ট মারা হয় কিন্তু সেই দিন রাতে বৃষ্টি হয়, সকালে সেই রাস্তায় কার্পেটিং করা হয়। বিটুমিনের পরিমাণ ও ব্যবহৃত পাথরের গ্রেডেশন নিয়েও আপত্তি করছে এলাকাবাসী। রাস্তায় এমন নিম্নমানের কাজ হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেন দেখেও দেখছে না। এতে স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে দহাকুলা গ্রামের আব্দুল হাকিম জানান, ইঞ্জিনিয়ার অফিসের লোকের সামনেই দায়সারা গোছের রাস্তার কাজ করলেও অজ্ঞাত কারণে তারা দেখেও না দেখার ভান করছেন।

একই গ্রামের শেখ আলমগীর হোসেন প্রতিনিধি কে বলেন, শুরু থেকেই স্থানীয় লোকজন কাজের মান নিয়ে আপত্তি করছেন। কিন্তু ঠিকাদারের লোকজন গ্রামের লোকজনকে হুমকি দেন। এবং কিছু প্রভাবশালী নেতার নাম বলেন, নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী তথা ইট, খোয়া ও পাথর ব্যবহার এবং যেনতেনভাবে কার্পেটিং, সঠিক পরিমাণ বিটুমিন ব্যবহার না করার কারণে রাস্তা নির্মিত হওয়ার অল্পদিনের মধ্যেই নষ্ট হয়ে যাবে। এলাকাবাসী জানায়, অধিকাংশ রাস্তা বৃষ্টির পানিতে ভিজে গেছে, কিছু জায়গায় হাত দিয়ে টান দিলে পিস গুলো উঠে যাচ্ছে।

রাস্তা সংস্কারের দায়িত্বে থাকা উপজেলা এস ও সুজন সাহেব বলেন, রাস্তায় কাজে কোনো সমস্যা নেই, সবকিছু ঠিকঠাকভাবে হচ্ছে, বৃষ্টি হলেও কাজ করা যায়। স্হানীয় লোকজন মিথ্যা ও বানোয়াট কথা বলেছেন।

ঠিকাদার ইমান আলী সাহেব কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি আসলে কাজটি করি না, কাজটি করে আমার লোক। তাই কেমন উপকরণ দিচ্ছে বলতে পারছি না। আমি খোঁজ নিচ্ছি।

এলজিইডি সাতক্ষীরা সদর উপজেলা প্রকৌশলী শফিউল আলমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি কল রিসিভ করেননি ।

এই বিভাগের আরও সংবাদ