শ্রমিক-কর্মচারীর বেতন ক্যাশ আউটে চার্জ কমল
করোনায়ভাইরাসের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতনের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে সরকার।
করোনায়ভাইরাসের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতনের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে সরকার। এ প্যাকেজের আওতায় শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা মোবাইল ব্যাংকিং ক্যাশ আউটে প্রতি হাজারে আট টাকা চার্জ নির্ধারণ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর মধ্যে শ্রমিকদের থেকে নেওয়া যাবে সর্বোচ্চ ৪ টাকা। বাকি ৪ টাকা দেবে ঋণ প্রদানকারী ব্যাংক।
বর্তমানে মোবাইল ব্যাংকিং হিসাব থেকে ক্যাশ আউট তথা টাকা উত্তোলনে প্রতি হাজারে ১৮ থেকে ২০ টাকা চার্জ কাটা হয়। পরবর্তীতে যা সেবা প্রদানকারী ব্যাংক, এজেন্ট ও এমএনওর মধ্যে ভাগ হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে বর্তমানে বিকাশ, রকেটসহ ১৫টি মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান সেবা দিচ্ছে। সম্প্রতি ডাক বিভাগের নগদও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অন্তবর্তীকালিন অনুমোদন পেয়েছে।
প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো সার্কুলারে বলা হয়েছে, রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক কর্মচারীদের বেতন ভাতা পরিশোধের জন্য সরকারের বিশেষ ঋণ সুবিধার টাকা শ্রমিক কর্মচারীদের ব্যাংক বা মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস) অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে দেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে। এ স্কিমের আওতায় পরিশোধিত বেতন-ভাতা ক্যাশ-আউটের ক্ষেত্রে শ্রমিক কর্মচারীদের স্বার্থ বিবেচনায় মাসুল আদায়ের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র কষ্ট রিকভারী বা কোন ক্ষেত্রে সাবসিডি দেওয়ার নীতি গ্রহণের জন্য এমএফএস অপারেটরদেরকে (নগদ-সহ) অনুরোধ করা যাচ্ছে। এক্ষেত্রে এই স্কিমের আওতায় পরিশোধিত বেতন ভাতা ক্যাশ আউটের জন্য একশ’ টাকায় ৮০ পয়সা চার্জ আদায়ের জন্য এমএফএস অপারেটরদের নির্দেশনা দেওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যে ঋণপ্রদানকারী ব্যাংক তাদের কমিশন থেকে এমএফএস অপারেটরদের ৪০ পয়সা দেবে। বাকি ৪০ পয়সা গ্রাহক থেকে আদায়যোগ্য হবে।
যেসব সচল শিল্প কারখানায় উৎপাদিত পণ্যের অন্তত ৮০ শতাংশ রপ্তানি হয় সেসব প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য এককালীন ২ শতাংশ সুদে ৫ হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল গঠন করেছে সরকার। এ তহবিল থেকে ঋণ নিতে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানকে গত ২০ এপ্রিলের মধ্যে আবেদন করতে বলা হয়। এরই মধ্যে অনেক প্রতিষ্ঠান আবেদন করেছে। ঋণ নিতে আগ্রহী কয়েকটি প্রতিষ্ঠান আবেদনের সময় বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছে।