শ্যামনগর উপজেলা সদরের ব্যস্ততম সড়ক পাঁচ মাস ধরে খুঁড়ে রাখা হয়েছে।

ইপেপার / প্রিন্ট ইপেপার / প্রিন্ট
৪২

আব্দুল আলিমঃ নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
শ্যামনগর উপজেলা সদরের নকিপুর বাজারের মধ্যভাগ দিয়ে নির্মিত সড়ক। প্রশস্থকরণ কাজের অংশ হিসেবে পাঁচ মাসেরও বেশী সময় ধরে খুঁড়ে রাখা হয়েছে রাস্তার দু’পাশ। ইটের টুকরা ফেলে রাখা হলেও দীর্ঘ সময়েও রোলিংসহ অন্যান্য কাজের কোন অগ্রগতি নেই সেখানে। উপজেলার সবচেয়ে ব্যস্ততম ও গুরুত্বপুর্ন সড়কের এমন দশায় ঐ সড়ক ধরে চলাচলরতদের মারাত্বক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। আবার দু’পাশ খুঁড়ে রাখার কারনে সংকীর্ন হয়ে পড়া এ সড়ক ধরে চলাচলরত সাধারন মানুষ ও ছোট ছোট যানবাহনগুলো প্রতিনিয়ত ছোট বড় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। সাধারন মানুষ ও ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বার বার বলা সত্তে¡ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কিংবা তত্তাবধানের দায়িত্বে থাকা কতৃপক্ষ বিষয়টি আমলে নিচ্ছে না বলেও অভিযোগ তাদের।
জানা যায় স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশলী বিভাগের তত্তাবধানে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে এক কোটি ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে হায়বাদপুর থেকে হাটচালা পর্যন্ত দুই ভাগে ১৭শ ৬০ মিটার সড়ক প্রশস্থ এবং রক্ষনাবেক্ষনের কাজ শুরু হয়। জাহাকাউল্লাহ এন্ড ব্রাদাস নামীয় প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্থানীয় মোল্যা ইঞ্জিনিয়ারিং নামীয় প্রতিষ্ঠান প্রায় ১২ লাখ টাকা কমে কাজটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব নিয়েছে। প্রকল্পটির আওতায় নকিপুর এইচসি সরকারি পাইলট বিদ্যালয়ের সামনে থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অফিস পর্যন্ত ওয়াইডিং(প্রশস্থ) এবং চন্ডিপুর থেকে বিএম টেকনিক্যাল কলেজ পর্যন্ত মেইনটেন্যান্স (রক্ষনাবেক্ষন) কাজ শুরু হয় আগষ্ট মাসে। দীর্ঘ সময় ব্যস্ততম সড়কের দু’পাশ খুঁড়ে ইটের টুকরা ফেলে রাখায় চলাচলরত ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারন মানুষকে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনাসহ নানান ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।পাইলট বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর ছাত্র রুদ্র মিস্ত্রি জানায় দু’পাশ খুঁড়ে ইটের টুকরা ফেলে রাখায় বিদ্যালয়ে যাতায়াতের সময় তাদের জ্যামে আটকে থাকতে হয়। এমনকি সাইকেলযোগে যাতায়াতকারী অনেক ছাত্র-ছাত্রী প্রশস্থ করার জন্য খুঁড়ে রাখা অংশে ফেলে রাখা ইটের উপর পড়ে আহত হচ্ছে।
নকিপুর বাজারে সবজী কিনতে আসা গৃহবধু মোমেনা বেগম বলেন, স্কুল-কলেজ, বাজার, মসজিদ ও পৌরসভা হওয়ায় এ সড়কে মানুষের ব্যাপক চলাচল। এমন সড়ক দীর্ঘ সময় ধরে খুঁড়ে রাখার দরুন মানুষজন ঠেলে বাজারে যেতে তারা মারাত্বকভাবে নাজেহাল হচ্ছেন। এছাড়া মাঝমধ্যে ভারী যানবাহন ঢুকে পড়ায় দীর্ঘ যানজটের শিকার হয়ে দীর্ঘক্ষন আটকে থাকতে হওয়ার কথাও জানান তিনি।
নকিপুর বাজারের ব্যবসায়ী জহুরুল হক আপ্পু বলেন, প্রধান মোকামের মধ্য দিয়ে নির্মিত সড়কের দু’পাশ খুঁড়ে ইটের ফেলে রাখা ইটের টুকরার আঘাতে পথচারীসহ দোকানী আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। বিষয়টি নিয়ে বার বার বলা সত্তেও ঠিকাদার কিংবা ইঞ্জিনিয়ার অফিসের লোকজন স্থানীয়দের কোন কথায় কর্নপাত করছে না।
কাজটি দীর্ঘদিন পড়ে থাকার কথা স্বীকার করে  ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের নুরুল হক মোল্যা বলেন, ইঞ্জিনিয়ার সাহেব কিছুদিন কাজ আটকে রেখেছিল। রোলারের অপেক্ষায় দেরী হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন দ্রæতই গোটা সড়ক খুঁড়ে একসাথে রোলিং করা হবে। আগামী এ মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার চেষ্টা থাকবে বলেও তিনি জানান।
উপজেলা প্রকৌশলী জাকির হোসেন জানান প্রসস্থকরণ অংশে কমপ্যাকসহ কিছু কাজে অসংগতিসহ রোলার না থাকায় কাজ বন্ধ ছিল। তবে রোলার এসে গেছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন দু’একদিনের মধ্যে কাজ শুরু হবে।

এই বিভাগের আরও সংবাদ