শ্যামনগর উপজেলায় ভেজাল মধুতে ছয়লাব, প্রশাসনের নজরদারির অভাব।
শ্যামনগর উপজেলায় ভেজাল মধুতে ছয়লাব, প্রশাসনের নজরদারির অভাব।
মোঃ ফরিদ উদ্দিন
বিশেষ প্রতিনিধি।
শ্যামনগর উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে চিনি ক্রয় বিক্রয় ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। হরিনগর বাজারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন চিনির ক্রয় বিক্রয় বৃদ্ধির কারণ চিনি দিয়ে মধু তৈরি হচ্ছে।
সেই ভেজাল মধু বিভিন্ন বাজারে চায়ের দোকানে মুদি দোকানে দেদারছে বিক্রি হচ্ছে।
কিছু অসাধু ভেজাল মধু ব্যবসায়ীরা শত শত বস্তা চিনি ক্রায় করে গুদামজাত করছে এবং সেই চিনি জ্বালদিয়ে ফ্লাবার মিশিয়ে মধু তৈরি করে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠিয়ে মানুষকে ঠকিয়ে হাজার হাজার টাকা ব্যবসা করছে। স্থানীয় মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায় কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে একটি মহাল সুন্দরবনের মধু বলে চিনি ব্যবহারকৃত মধু দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠিয়ে ব্যবসা করছে । সুন্দরবন বাজার ,হরিনগর বাজার, মুন্সিগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে অনেকের নাম উঠে এসেছে।
ভেজাল মধুর ব্যাবসা করে অনেকেই রাতারাতি কোটিপতি বনে গেছে।
চলছে পবিত্র মাহে রমজান মাস, এই মাসে চিনির চাহিদা বেড়ে যায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা যথাযথ কর্তৃপক্ষ ভেজাল মধু তৈরিকারী ব্যক্তিদের শনাক্ত করে চিনির ব্যবহার কমাতে না পারলে সাধারণ মানুষের ভিতরে একটি ক্ষোভ দেখা দেবে। এ ব্যাপারে শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ সাথে কথা বললে তিনি বলেন আমাদের ভেজাল বিরোধী অভিযান অব্যাহত আছে। তবে সাধারণ মানুষ বলছে মাঝেমধ্যে পুলিশের অভিযানে ছোটখাটো ভেজাল মধু ব্যবসায়ী ধরা পড়লেও রাঘব বোয়ালরা ধরাছোঁয়ার বাইরেই রয়ে যাচ্ছে।