মঙ্গলবার ,  ৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ||  ২৪শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ -  গ্রীষ্মকাল

যশোর বোর্ডের প্রথম ফাহিম মাহমুদ রাদকে ইন্টারএইড এর সংবর্ধনা

প্রকাশিত হয়েছে-

জি এম মামুন নিজস্ব প্রতিনিধি:
খুলনা নগরীর একটা অভিজাত রেস্তোরায় এস.এস.সি ২২ এ যশোর বোর্ডে প্রথম হওয়া ফাহিম হাসান রাদকে এন্টার এইড কর্তৃক গণ সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এই সময় উপস্থিত ছিলেন এন্টারএইড এর পরিচালক আজিজুল হক। যশোর বোর্ড থেকে পি.এস.সি ও জে.এস.সি পরীক্ষায় ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পায় ফাহিম মাহমুদ রাদ। খুলনা সেন্ট জোসেফ স্কুল থেকে তিনি বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেন। যশোর বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত রেজাল্ট থেকে জানা যায় তার প্রাপ্ত নাম্বার ১১৩৩। তার রোল নম্বর – ১১৭৪৫৯।
ফাহিম মাহমুদ রাদের পিতা মাহমুদুল ইসলাম বলেন,রাদ খুবই ভালো ছেলে। প্রায় সময় শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে। সে স্কুলে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের কাছে পরিচিত মুখ। স্কুলে পড়ার সময় পড়ালেখার পাশাপাশি সহপাঠ্যক্রমিক কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত থাকত। অনেকবার জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে প্রথম স্থান অধিকার করেছে।
ফাহিম মাহমুদ রাদের মাতা লাবনী আক্তার বলেন ২০১৬ সালে জিপিএ-৫ সহ বৃত্তি পেয়ে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় নিজ এলাকায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন আমার ছেলে ফাহিম মাহমুদ রাদ। ২০১৯ সালে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় (জেএসসি) স্থানীয় সেন্ট জোসেফ স্কুল থেকে জিপিএ-৫ সহ ট্যালেন্টপুল বৃত্তি পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। একই প্রতিষ্ঠান থেকে ২০২২ সালে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ সহ যশোর বোর্ডে ১ম স্থান অধিকার করেছে।
এ বিষয়ে InterAiD এর পরিচালক আজিজুল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাদ মেধাবী এবং খুব পরিশ্রমী। ডায়নামিক একটি ছেলে। ভবিষ্যতে আরও সাফল্য তার জন্য অপেক্ষা করছে। যশোর বোর্ডের ১ম হওয়ার বিষয় নিয়ে InterAiD এর পরিচালক আজিজুল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি দৈনিক আমাদের দেশকে বলেন যশোর বোর্ডের নিজস্ব ওয়েবসাইট লক্ষ্য করলে ফাহিম মাহমুদ রাদ যে যশোর বোর্ডে প্রথম হয়েছে সে বিষয়টি আপনারা নিশ্চিত হতে পারবেন। তিনি আরও বলেন নিয়মিত পরীক্ষার মাধ্যমে ভালো ফলাফল অর্জন করা সম্ভব।
এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে সর্বোচ্চ ফলাফল করার কারণ জানতে চাইলে ফাহিম মাহমুদ রাদ দৈনিক আমাদের দেশকে বলেন, আমার এই অর্জনের পেছনে আমার বাবা মা ও শিক্ষকদের অবদান অনেক বেশি। আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহর অশেষ রহমত এবং মায়ের দোয়া আমার সাথে আছে। শিক্ষকমন্ডলী এবং বিশেষ কিছু মানুষের অনুপ্রেরণা সবসময় আমাকে উজ্জীবিত করেছে। আমি তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞ।
নিজের ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে ফাহিম মাহমুদ রাদ বলেন, যে পেশাতে থাকি না কেনো, নিজের দায়বদ্ধতা ও দায়িত্বশীলতা থেকে মানুষের কল্যাণে কাজ করবো। সর্বোপরি একজন ভালো মানুষ হতে চাই।