বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় প্রাণ গেল বৃদ্ধ প্রতিবন্ধীর
মোঃ সাইদুর রহমান হেলাল(নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি)
নওগাঁর রাণীনগরে বেপরোয়া গতিতে আসা মোটরসাইকেলের ধাক্কায় মকবুল হোসেন(৭০) নামের এক প্রতিবন্ধী বৃদ্ধ নিহত হয়েছে শনিবার দুপুরে উপজেলার মিরাট ইউনিয়নের চরকানায় মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মকবুল হোসেন পিতা তমিজ মোল্লা চরকানায় গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায়, শনিবার মিরাট ইউনিয়নের বান্দাইখাড়া মিঠাপুর আঞ্চলিক সড়কে মককবুল হোসেন প্রতিদিনের মতো স্বাভাবিক ভাবে রাস্তা পারাপার হচ্ছিল কিন্তু সেদিন বেপরোয়া গতিতে আসা লিটন(৩৫) পিতা ইউনুস গ্রাম চরকানাই মিরাট রাণীনগর নওগাঁর গাড়ির ধাক্কায় বৃদ্ধের লাঠি সহ ছিটকে গিয়ে পড়ে এবং মাথা সহ শরিরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত পেলে পড়ে স্থানীয়রা পাশের মিঠাপুর বাজারে এক এস,এসসি পাশ করা এক ফার্মেসীর দোকানি রিপনের কাছে নিয়ে যায় সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দেয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গ্রামের কয়েকজন বলেন, ডাক্তার পরিচয় দিতে অনেকগুলো ডিগ্রি অর্জন করতে হয় অনেক কলেজ প্রতিষ্ঠানের গন্ডি পেরিয়ে তার পড়ে না ডাক্তার হতে হওয়া যায়,এখনও অনেক মানুষ পল্লী চিকিৎসককে ডাক্তার ভেবে ভুল করে এ ব্যপারে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।
জালালাবাদ গ্রামের বাদেশ বলেন, মৃত্যু ঘটনার দিন শনিবার ঐ রাতেই দু-পক্ষকে নিয়ে ঘরুয়াভাবে বসে বিষয়টা যেন মামলার দিকে অর্থাৎ আদালত পর্যায়ে না যায় তাই তাদের মধ্যে আপোষ মিমাংসা করা হয়েছে।
পল্লী চিকিৎসক রিপন বলেন,আহত অবস্থায় মকবুলকে আমার কাছে স্থানীয়রা নিয়ে আসলে আমি তাকে সাথে সাথেই ব্যথানাশক ইনজেকশন দিয়েছি তাকে কোন এন্টিবায়োটিক প্রয়োগ করা হয়নি,আমার সনদে ডাক্তার কথা লিখা থাকায় আমার প্রেসক্রিপশনে ডাক্তার শব্দটি ব্যবহার করেছি।
রাণীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ ওবায়েদ বলেন, ঘটনার পরদিন রবিবার সাড়ে বারোটার দিক জানতে পেরে সাথে সাথেই আমার ফোর্স নিয়ে নিহতের পরিবারের কাছে যাই এবং তাদের কোন অভিযোগ না থাকায় মামলা নেওয়া হয়নি, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোন মামলা মোকদ্দমা করবেনা মর্মে একটি লিখিত বক্তব্য নিয়েছি।