বিএনপির কাউন্সিলে জাল ভোট দেওয়াকে কেন্দ্র করে ব্যাপক মারপিট

ইপেপার / প্রিন্ট ইপেপার / প্রিন্ট

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে বিএনপির কাউন্সিলে জাল ভোট দেওয়ার প্রতিবাদ করাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে বিবাদে ব্যাপক মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। এতে দলটির সাবেক পৌর আহ্বায়ক শেখ লিয়াকত আলীসহ অন্তত ৮জন আহত হয়েছে। এরমধ্যে বিএনপি কর্মী মিঠু ও বাবুর অবস্থা আশঙ্কাজনক।শুক্রবার (২৫ জুলাই) বিকেলে শ্যামনগর পৌর সদরের নকিপুর এইচসি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এ সংঘর্ষ ঘটে।ওয়ার্ড ভিত্তিক সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ভোট গ্রহণ চলছিল। ৮নং ওয়ার্ডের ভোটার তালিকায় শতাধিক জাল ভোটার ও আওয়ামী লীগের কর্মীদের অন্তর্ভুক্তির অভিযোগ তুলে একটি পক্ষ ভোট স্থগিতের দাবি জানায়। সঙ্গে সঙ্গে তাদের ওপর হামলা ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে প্রতিপক্ষ। বিএনপি নেতা বাবু জানান, পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের কমিটি গঠন ও ভোট গ্রহণ চলাকালে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে প্রতিবাদকারীদের উপর হামলে পড়ে ওয়াহেদ মুন্না’র অনুসারীরা। তারা শেখ লিয়াকত আলীর ওপর হামলা চালায়। তাকে রক্ষা করতে গেলে আনোয়ার-উস-শাহাদাত মিঠু (৪৫), ফজলুর রহমান বাবু (৪৩), মোনাজাত খান (৪৫)সহ হামলার শিকার হন। হামলায় মিঠুর মাথায় প্লাস্টিক পাইপের আঘাতে গুরুতর জখম হয়। শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শাকির হোসেন বলেন, আহত মিঠুর মাথায় গভীর আঘাত লেগেছে, কয়েকটি সেলাই দিতে হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। আহত শেখ লিয়াকত আলী বলেন, ভোটে জাল ডেলিগেট, ভোটার ও আওয়ামীলীগ কর্মীদের অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদ করায় পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়েছে। এর দায় কাউন্সিল পরিচালনায় দায়িত্বে থাকা জেলা নেতৃবৃন্দ এড়াতে পারেন না। কাউন্সিল পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সাংগঠনিক টিমের প্রধান তাসকিন আহমেদ চিশতি, জেলা আহ্বায়ক রহমতুল্লাহ পলাশ ও সদস্য সচিব আবু জাহিদ ডাবলু একজনও সাংবাদিকদের কোনও প্রশ্নের উত্তর দিতে রাজি হননি। ঘটনার পর পরই শ্যামনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির বলেন, পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে। সংঘর্ষের বিষয়ে তদন্ত চলছে। এছাড়া এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি বলে জানান ওসি।

এই বিভাগের আরও সংবাদ