ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে ঈদকে কেন্দ্র করে হঠাৎ বেড়েছে বিভিন্ন প্রকার বাজির উপদ্রব
ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধিঃ-ঈদকে কেন্দ্র করে ফরিদপুরে চরভদ্রাসনে হঠাৎ বেড়েছে বিভিন্ন প্রকার বাজির উপদ্রব। ফরিদপুর শহর-সহ জেলার বিভিন্ন গ্রাম এলাকায় উঠতি বয়সী ছেলে-মেয়েরা দেদারসে কিনছে এসব হরেক রকম বাজি।কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে পথে ঘাটে, বাড়ির আঙিনা-সহ যেখানে সেখান ফাটানো হচ্ছে এসব বাজি। বাজির বিকট শব্দে আঁতকে উঠছে শিশু, বৃদ্ধাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
এতে হৃদরোগী-সহ বিভিন্ন জটিল রোগীরা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।চরভদ্রাসনে একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, এসব বাজি অচিরেই নিষিদ্ধ ঘোষণাসহ প্রশাসনের কঠোর নজরদারি দরকার।
তা না হলে এর রেশ টানা কঠিন হবে । উঠতি বয়সী ছেলে-মেয়েরা এসব বাজিতে আসক্ত হয়ে যাচ্ছে।
তারা বাবা-মার কাছে থেকে টাকা নিয়ে দেদারসে কিনছে এসব হরেক রকম বাজি। বাজির শব্দে মানুষ অতিষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ঘটছে অহ-রহ দুর্ঘটনা।
প্রশাসনের কঠোর নজরদারির অভাবে কোনো প্রকার বাধাবিঘ্ন ছাড়াই এসব বাজি ফুটালেও কোনো প্রকার রেশ টানা যাচ্ছে না। প্রশাসন এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নিবে এমনটাই প্রত্যাশা চরভদ্রাসন উপজেলা বাসীর।
চরভদ্রাসন থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল ওহাব বলেন আমার স্পেশাল অফিসারদের এই বিষয়ে বলা আছে, যেহেতু বাজি তৈরির কারখানা চরভদ্রাসন উপজেলার ভেতরে নাই সেজন্য তো সেভাবে বন্ধ করতে পারতেছি না, তবে বাজি ফুটানোর বিষয়ে গার্জিয়ানদের সচেতন করতে হবে, যেহেতু বিষয়টা বললেন আমি দেখতেছি, তবে, বোমা কিংবা ককটেল ফোটানো বন্ধে স্থায়ী আইন থাকলেও পটকা বাজি ও আতশবাজি ফোটানো বন্ধে তেমন শক্ত কোনো আইন নেই। তবে, এসব বাজি ফোটানো বন্ধে পুলিশ কাজ করে থাকে।
তবে সমাজের সব শ্রেণির মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এটি কমিয়ে আনা সম্ভব বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।