নিয়ামতপুর ডাক্তারের চেম্বারে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা
(নওগাঁ) প্রতিনিধি
নওগাঁর নিয়ামতপুরে পরব্রীজে অবস্থিত শমসের ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে ডাক্তারের চেম্বারে একজন আত্মহত্যা করেছে। ১ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার বেলা ৪টায় এ ঘটনা ঘটে। মৃত উপজেলার বাহাহৈর গ্রামের ছেলে বিলাশ (২৫)। বিলাশ শমসের ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টি সেন্টারে ডাক্তারের চেম্বারে সেলিং ফ্যানের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করে। শমসের ক্লিনিক এন্ড ডাঢাগনষ্টিক সেন্টারের মালিক ডাক্তার সামসুজ্জোহার ছেলে ডাক্তার মনিরুল ইসলাম বলেন, বালাহৈর গ্রামের বিলাশের স্ত্রী রেশমী (১৮)কে গতকাল আমাদের ক্লিনিকে সজার করার জন্য ভর্তি করান। বাচ্চাও হয়। সে কারণে বিলাশ আমাদের ক্লিনিকে আসা যাওয়া করছে। আজ দুপুরে আমি যখন জোহরের নামাজে যাই তখন সবার অগোচরে চেম্বারের দরজা ভেতর থেকে ছিটকি লাগিয়ে দেয়। দরজার ফুটো দিয়ে বিলাশকে ঝুলতে দেখা যায়। পুলিশকে সংবাদ দিলে পুলিশ দরজা ভেঙ্গে লাশ উদ্ধার করে।
বিলাশের মা এ প্রতিবেদককে বলেন,আমার বৌমার যখন পেটে ব্যাথা শুরু হয় তখন আমি ও আমার ছেলে বিলাশ বৌমাকে সরকারী হাসপাতালে নিয়ে গেলে তারা ফিরিয়ে দেয়। আমরা নিরুপায় হয়ে জোহাক ডাক্তারের এই ক্লিনিকে বৌমাকে ভর্তি করাই। তখনই আমার ছেলে বিলাশ আমাকে বলে মা আমার আর বাড়ী যাওয়া হবে না। আমাকে এখানেই থাকতে হবে। তখন থেকে ছেলে আমার কেমন যেন পাগলের মত আচরণ করছে। আমি ইচ্ছে ছিল আগামী শনিবারে আমার ছেলেকে চিকেৎসার জন্য রাজশাহী নিয়ে যাবো। তা আর হলো না। এই ক্লিনিকেই গলায় ফাঁস দিয়ে মরলো। নিয়ামতপুর থানার অফিসার ইন চার্জ মাইদুল ইসলাম বলেন, নিয়ামতপুর উপজেলার পারব্রীজে অবস্থিত শমসের ক্লিনিক এন্ড ডাঢাগনষ্টিক সেন্টারে একজন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে মর্মে সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথে আমার ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করি। ধারণা করছি মৃত ব্যক্তি মানসিক সমস্যার ভুগছিলেন। তার পরিবার থেকে এমনটাই জানা গেল।