নিভৃতে শোষিত হচ্ছেন নারী লেখকরা: মহিলা পরিষদ সভাপতি
ইপেপার / প্রিন্ট
নারীরা ক্ষমতায়ীত হচ্ছে। কিন্তু নারী একবার নারী হয়ে শোষিত হচ্ছে, একবার মানুষ হিসেবে শোষিত হচ্ছে। সব শোষণের মূলে আছে ক্ষমতা। আধিপত্যের কাছে নারী পুরুষ উভই শোষিত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. ফওজিয়া মোসলেম।বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) রাজধানীর শাহবাগে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিনমাস হলরুমে লেখক ও সমাজ সেবক বেগম সুরাইয়া কামাল স্মরণে আয়োজিত বাংলা সাহিত্য এবং সমাজে নারীর অবদান শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, সমাজের অন্য খাতের মতো সাহিত্য জগতেও নারীদের অবদান মনে রাখা হয় না। এসময় লেখক সুরাইয়া কামালের লেখার গভীরতা ও সমাজ ভাবনা এ প্রজন্মকে লেখালেখিতে উদ্বুদ্ধ করবে বলেও জানান এ নারী নেত্রী।
সাহিত্যিক সুরাইয়া কামাল ১৯৪৪ সালে পশ্চিমবঙ্গের বদ্ধমান জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশে এসে স্থায়ী হলেও ভারতের লেখক সমাজের সঙ্গে তার নিবিড় যোগাযোগ ছিল। পারিবারিক সব কাজ সামলিয়ে নিভৃতে সাহিত্য চর্চা অব্যাহত রেখেছিলেন বলে জানান বেগম সুরাইয়া কামালের মেয়ে হুমায়রা বেগম মিলি। পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের অসংখ্য পত্রিকায় তার লেখা ছাপানো হতো বলেও জানান হুমায়রা বেগম।
অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক বিশিষ্ট গোয়েন্দা লেখক অরুণ কুমার বিশ্বাস বলেন, বর্তমান লেখকরা খুব বেশি পড়তে চান না। ফলে লেখার ভেতরে তেমন গভীরতা থাকে না। সবাই দ্রুত জনপ্রিয় হতে গিয়ে এ রকম হচ্ছে। তবে সুরাইয়া বেগমের লেখার গভীরতা দেখেই আন্দাজ ছিলেন প্রচার বিমুখ একজন নিভৃত লেখক।
এদিন বেগম সুরাইয়া কামালের অপ্রকাশিত দুটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিরা।
