নওগাঁ, মহাদেব পুর উপজেলা ভালাইন গ্রামে স্ত্রীর পরকিয়ায় বলি হলেন এক যুবক

ইপেপার / প্রিন্ট ইপেপার / প্রিন্ট
১১

মোঃ সাইদুল ইসলাম হেলাল জেলা প্রতিনিধি নওগাঁ: নওগাঁ জেলা,মহাদেব পুর উপজেলা ভালাইন গ্রামে গত ১৫/১০/২০২৩ ইং সালে চঞ্চল নামে এক যবক কে তার স্ত্রীর কথিত প্রেমিক আশরাফুল (৪২) পিতা যফের ও স্ত্রী উভয় মিলে তাকে গলা টিপে হত্যার চেষ্টা করে বলে এলাকার মানুষ মন্তব্য করেন।১২/১০/২৩ তারিখ রাত আনুমানিক ১১ টার হঠাৎ চঞ্চল চিৎকার করে আমাকে বাঁচাও, বাঁচাও, তখন প্রতিবেশিরা ছুটে গিয়ে দেখে বাসার মধ্য থেকে আশরাফুল দৌড়ে পালায়, এবং চঞ্চল অচেতন অবস্থায় পরে আছে, আর তার স্ত্রী বানু (৪০) তার পাশে দাঁড়িয়ে আছে। চঞ্চলের ভাই, ভাবি সহ প্রতিবেশিরা ধরে নিয়ে, মহাদেব পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার কথা বললে তার স্ত্রী তখন বলেন, একটু পরে মরে যাবে একে হাসপাতালে নিয়ে লাভ নাই।তার পরও ভাই, ভাবি সহ সবাই মিলে তাকে মহাদেবপুর সদর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান। ২ দিন থাকার পরে হাসপাতাল কর্তীপক্ষ বলেন এখানে হবে না, আপনারা রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যান,সেখান থেকে বাসায় এনে একদিন থাকার পরে রোগীর অবস্থা বেশি খারাপ হলে রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাস্তায় মৃত্যু বরন করেন। সেখানে উপস্থিত অনেকে মন্তব্য করেছেন মৃত্যুের গলায় বড় একটা দাগ ছিল। একজন সরকারি কর্মকর্তা তার নিকটতম আত্মীয় বলেন এটা হত্যা, আপনারা থানায় খবর দেন। তার কথা না মানলে তিনি জানাজা ও কবর দিতে যান নাই।কেহ বাদি না থাকায় তারা পারিবারিক ভাবে দাপন করেন।পরবর্তী সময়ের নিজেদের মধ্যে কোন্দল সৃষ্টি হলে বিষয়টি নিয়ে বেশ কিছু দিন থেকে কানাঘুষা চললে,বিষয়টি সাংবাদিকের কানে পৌছলে, সংবাদ কর্মি স্বরজমিনে গিয়ে মৃত্যুের মা,ভাই, ভাবি ও প্রতিবেশিকে জিজ্ঞেস করে জানা যায় যে বাড়িতে জ্ঞান হারানোর পরে মৃত্যুর আগমুহূর্তে পর্যন্ত কোন কথা বলতে পারে নাই। মৃত্যুর বাবা হাজি,আঃহামিদ জানান তার ছেলের সাথে তার দীর্ঘ দিন থেকে কোন সম্পর্ক ছিল না তবে আমি জেনেছি তার কথিত ছেলের পরকিয়া, আশরাফুল দীর্ঘ দিন থেকে ছেলের বাড়িতে আসা যাওয়া করতো আমি এবিষয়ে নিষেধ করেছি। আমার মতে সে স্বাভাবিক মৃত্যু বরন করেছে। তার স্ত্রী বানু কে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান কয়েক দিন থেকে জ্বরে ভুগছিল এখানে দোকান থেকে ওষুধ কিনে খাইয়েছি এবং স্বাভাবিক মৃত্যু বরন করেছে। সেখান থেকে মহাদেব পুর সদর থানার ওসি সাহেবকে মুঠো ফোনে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, এবিষয়ে আমরা কিছু জানিনা তবে আপনি আমাদের জানিয়েছেন বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখবো এবং এর সত্যতা যাচাই বাছাই করবো। ঘটনা স্হলে কয়েকজন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক গিয়ে বিস্তারিত জেনে মন্তব্য করেছেন এটা স্বাভাবিক মৃত্যু না।

এই বিভাগের আরও সংবাদ