মঙ্গলবার ,  ১৬ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ ||  ১লা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ -  শীতকাল

নওগাঁয় মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়নের বার্ষিক সভা ও বনভোজন

প্রকাশিত হয়েছে-

মির্জা তুষার আহমেদ,নওগাঁ:বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন নওগাঁ জেলা শাখার উদ্যোগে বার্ষিক আলোচনা সভা ও বনভোজন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার, নওগাঁ শহরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত ডানা পার্কে দিনব্যাপী এ আয়োজন সম্পন্ন হয়। জেলার ১১টি উপজেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার শতাধিক সাংবাদিক এতে অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নওগাঁ জেলা বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি খোরশেদ আলম ও সঞ্চালনায় (ভারপ্রাপ্ত) সাধারণ সম্পাদক নাহিদ হোসাইন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, মান্দা থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ-সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ডাঃ ইকরামুল বারী টিপু, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মোঃ মাসুদ হায়দার টিপু,জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ- সম্পাদক মোঃ সফিউল আজম টুটুল।

আরও উপস্থিত ছিলেন মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ সভাপতি গোলাম রসুল বাবু, বরুণ মজুমদার, আব্দুল আজিজ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ সম্রাট, সাংগঠনিক সম্পাদক শ্রী মনরঞ্জন চন্দ্র, অর্থ সম্পাদক হাফিজার রহমান, সহ অর্থ সম্পাদক রইচ উদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক মির্জা তুষার আহমেদ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এম এ মালেক, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুর রহমান খোকন, প্রচার সম্পাদক ওয়াসিম রাজু, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ফজলুল করিম সবুজ, নির্বাহী সদস্য এ কে নোমান, সাজু সহ প্রমুখ। বিএনপি নেতা ডাঃ মোঃ ইকরামুল বারী টিপু তিনি বলেন, সাংবাদিকরা সমাজের দর্পণ। সঠিক তথ্য উপস্থাপনই গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখতে পারে। তবে দুঃখজনকভাবে, মফস্বল সাংবাদিকরা তাদের যথাযথ স্বীকৃতি পান না। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। মোঃ মাসুদ হায়দার টিপু বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে সাংবাদিকতার স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতা রক্ষার জন্য সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। রাজনৈতিক ও সামাজিক চাপ উপেক্ষা করে সাহসী সাংবাদিকতার চর্চা করতে হবে, যাতে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হয়।”মোঃ শফিউল আজম টুটুল বলেন, সাংবাদিকদের কাজ শুধু খবর প্রচার নয়, বরং অন্যায় ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়াও তাদের দায়িত্ব। তবে তাদের অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাষ্ট্র, গণমাধ্যম মালিক এবং সাংবাদিক সংগঠনগুলোকে একযোগে কাজ করতে হবে।আলোচনা সভা শেষে বনভোজন পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। অংশগ্রহণকারীরা একসঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ করেন এবং পারস্পরিক সৌহার্দ্য বৃদ্ধি করেন। সংগঠনের নেতারা জানান, ভবিষ্যতে আরও বৃহৎ পরিসরে এই আয়োজন করা হবে, যাতে দক্ষতা উন্নয়নের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অন্তর্ভুক্ত করা যায়।