নওগাঁয় অসাধু ব্যবসায়ীদের ধান চাল মজুদ করাই ১৬ মিল মালিক কে কয়েক লক্ষ টাকা জরিমানা

ইপেপার / প্রিন্ট ইপেপার / প্রিন্ট
৮৪

মির্জা তুষার আহমেদ (ক্রাইম রিপোর্টার নওগাঁ জেলা)
নওগাঁয় অবৈধভাবে ধান-চাল মজুদ করার অপরাধে জেলা চালকল মালিক গ্রুপের সভাপতিসহ ১৬ জন মিল মালিককে ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সাথে ৩টি গোডাউন সিলগালা করা হয়েছে। শনিবার জেলা সদর, মহাদেবপুর, মান্দা ও পত্নীতলায় উপজেলায় পৃথক এলাকায় দিনব্যাপী মজুদবিরোধী অভিযান চালিয়ে এই দণ্ড প্রদান করেন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে জেলা প্রশাসনের মিডিয়া সেলে এসব তথ্য জানায়।

মিডিয়া সেলের দেয়া তথ্যমতে, ধান-চালের অবৈধ মজুদ খুঁজতে দুপুর থেকে সন্ধ্যা ৭:৩০টা পর্যন্ত জেলার সদর, মহাদেবপুর, মান্দা ও পত্নীতলায় জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি মঞ্জুদবিরোধী অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে নির্ধারিত সীমার চেয়ে অতিরিক্ত ধান-চাল মজুদ রাখায় শহরের আনন্দনগর মহল্লার আরএম রাইস মিলের মালিক রফিকুল ইসলাম রফিককে ১ লাখ টাকা জরিমানা এবং ৩টি গোডাউন সিলগালা করা হয়। তছিরন অটোমেটিক রাইস মিলের মালিককে ১ লাখ টাকা, মেসার্স এমএম অটো রাইস মিল মালিককে ৫০ হাজার টাকা, মফিজ উদ্দিন অটোমেটিক রাইচ মিলের মালিককে ৫০ হাজার টাকা, মেসার্স জায়েদা ট্রেডার্স মালিককে ১ লাখ টাকা, মেসার্স সুফিয়া অটোমেটিক নাইস মিল মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

- Advertisement -

মহাদেবপুর উপজেলার নাহার আরমান অটোমেটিক রাইস মিল মালিককে ৩০ হাজার টাকা, শাপলা অটোমেটিক রাইস মিল মালিককে ২০ হাজার টাকা, দাদা অটোমেটিক রাইস মিল মালিককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও জাহিদ অটোমেটিক রাইস মিল মালিকে ও মক্কা মদিনা অটোমেটিক রাইস মিল মালিকে জরিমানা করা হয়। মান্দা উপজেলার সাবাই হাট এলাকায় অবৈধ ধান মজুদের দায়ে এবং লাইসেন্স না থাকার জন্য ফয়জুল ইসলাম নামে একজন ব্যবসায়ীকে ২০ হাজার টাকা ও সুমন কুমার নামে আরও এক ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

পত্নীতলায় লাইসেন্স ছাড়া ধান মজুদের দায়ে আরও তিন ধান ব্যাবসায়ীকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক গোলাম মওলা জানান, অবৈধভাবে মজুতকৃত এসব ধান-চাল সঠিকভাবে খোলাবাজারে বিক্রি নিশ্চিত করতে সহকারী কমিশনার (ভূমি), কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এবং একজন উপ পরিদর্শকের (এসআই) সমন্বয়ে টিম গঠন করে দেয়া হয়েছে। তারা বিষয়টি তদারকি করবে। ধান-চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে মজুতবিরোধী এই অভিযান চলমান থাকবে।

এই বিভাগের আরও সংবাদ