শুক্রবার ,  ১লা নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ||  ১৬ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ -  হেমন্তকাল

দুর্নীতির দায়ে বদলি হলেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার রবিউল ইসলাম

প্রকাশিত হয়েছে-

মোঃ তুহিন হোসেন সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ধলবাড়ীয়া ক্লাস্টার অফিসার রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। সেখানকার প্রধান শিক্ষকের সাথে মতবিনিময়ের মাধ্যমে জানা গেল যে বর্তমান ক্লাস্টার অফিসার জনাব মোঃ রবিউল ইসলাম তাদের প্রতি ভয়ভীতি দেখিয়ে বিভিন্ন ভাবে অর্থ আদায়ের পাঁয়তারা করছেন তাদের অনেকেই আবার মন্তব্য করেন যে আমাদের ক্লাস্টারের সম্প্রতি এমন একজন এটিও স্যার দেয়া হয়েছে যিনি শিক্ষকদের উপর অনেক অত্যাচার করেছেন। মিশন ক্লাস্টারে এরূপ কার্যক্রমের প্রমাণ রয়েছে তিনি চরম হিন্দু বিদ্বেষী অফিসার হিসেবে খ্যাত। শিক্ষকদের প্রতি অত্যাচারের কারণে তিনি ১৩ বছরের চাকরি জীবনে ৮ বার শাস্তি মূলক বদলি হয়েছেন। দুর্নীতির দায়ে তিনি শ্যামনগর হতে এমপির ডিও লেটারে বদলি হয়ে আশাশুনী আসেন। আবার সেখান থেকে একই অপরাধ এমপির ডিও লেটারে মোড়লগঞ্জ বদলি হয়। মোড়লগঞ্জ থেকে লোহাগড়ায় আসেন। লোহাগড়া থেকে তিনি ঠিক একই অপরাধের কারণে এমপির ডিও লেটারে সাতক্ষীরা সদরে বদলী হয়ে আসেন। সাতক্ষীরা থাকাকালীন মিশন ক্লাস্টারের দায়িত্বরত অবস্থায় যেসকল আর্থিক কাজ প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে সম্পন্ন হওয়ার কথা, যেমন ক্ষুদ্র মেরামত, স্লিপ প্লেইং এক্সোসরিজ ক্রয়, ইমারজেন্সি ইন এডুকেশন ইত্যাদি আর্থিক বিষয়ে ক্ষমতা দেখিয়ে একাই ক্রয় করেন। যা অত্যন্ত নিম্নমানের। এখান থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেন। এ বিষয়ে শিক্ষকরা কথা বললে মামলার হুমকিও দেন তিনি। সবসময় বলেন বাঘে ধরলে ছাড়ে কিন্তু রবিউল ধরলে ছাড়ে না। এহেন ডায়লগে নিরীহ শিক্ষকবৃন্দ ভীত সন্ত্রস্ত আতঙ্কে দিনাতিপাত করছেন।
আরো খোঁজ নিয়ে জানা গেল তিনি প্রত্যেকটি বিদ্যালয়ের স্লিপ অনুদান থেকে ১০ হাজার টাকা এবং ক্ষুদ্র মেরামত থেকে কমপক্ষে ৩০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা আদায় করে থাকেন। যা সম্পূর্ণ অবৈধ অনৈতিক। এমন একজন অত্যাচারি অফিসার দিয়ে আমাদের শোষণ করানো হয়েছে। তারমধ্যে ভুল শুধরে দেয়ার কোন মানসিকতাই নেই তিনি হুমকি দিয়ে ভয় দেখিয়ে ত্রুটির প্রেক্ষিতে অর্থ আদায় করা তার লক্ষ্য। তার অনিয়মের কারণে মিশন ক্লাস্টার হতে ধলবাড়িয়া ক্লাস্টার পরিবর্তন করা হয়েছে। এছাড়া প্রাথমিক শিক্ষা নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস করে বরখাস্ত হয়েছিলেন। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলায় শাস্তি হয়েছে। এটা আমাদের জাতীয় স্বার্থে ক্ষুন্ন করেছে।
জানা যায় তিনি তার চাকরি জীবনে শুরু থেকে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে অসদাচরণ করে আসছিলেন। উদ্বোধন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকায় তার প্রধান কাজ। তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ থেকে নিজেকে সবসময় বড় মনে করেন। উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট শিক্ষকরা উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মোঃ রবিউল ইসলামকে অন্য জেলায় বদলি তার দুর্নীতির স্বেচ্ছাচারিতার কারণে কঠোর শাস্তির দাবি করে আসছিলেন। তাদের দীর্ঘ দিনের দাবির পরিপেক্ষিতে অবশেষে ৪ জানুয়ারী রবিবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন ২) স্বাক্ষরিত এক আদেশে আগামী ৭ জানুয়ারী দ্বায়িত্বভার হস্তান্তর করে ৮ জানুয়ারী নতুন কর্মস্থল বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জে যোগদান করার নির্দেশ দেন। এব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবদুল গনি আমাদের প্রতিনিধিকে জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে অন্যত্র বদলি করা হয়েছে।