থানা হাজতে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানের মৃত্যু, ২ পুলিশ সদস্য সাময়িক বরখাস্ত

ইপেপার / প্রিন্ট ইপেপার / প্রিন্ট
৩৯৬

দৈনিক সময় ডেস্ক:
মাদক মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া মুক্তিযোদ্ধার পুত্র বাবলু সরদার সাতক্ষীরার গোয়েন্দা পুলিশ হেফাজতে মারা গেছেন। এ ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

পুলিশের দাবি, থানা হেফাজতে বাবলু সরদার ‘আত্মহত্যা’ করেছেন। পরিবারের দাবি, পুলিশ হেফাজতে ‘পিটিয়ে মারা হয়েছে’

- Advertisement -

সাতক্ষীরা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক ইয়াসিন আলম চৌধুরী জানান, বাবুল সরদারকে শনিবার সকালে তার গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার বসন্তপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে ৫০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়।

বাবুল সরদারকে গোয়েন্দা পুলিশের লকআপে রেখে দেওয়া হয়। রোববার তাকে আদালতে নিয়ে যাবার কথা ছিল। ইয়াসিন ​বলেন, ‘শনিবার রাতে কোনো এক সময় সে গলায় নিজের কোমরে ব্যবহৃত নাইলনের মোটা সুতা দিয়ে লকআপের গেটের গ্রিলের সাথে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়।’
বাবুল সরদারের মেয়ে সুলতানা মুন্নি জানান, শনিবার সকালে বোরকা পরা এক নারী আকস্মিকভাবে তাদের বাড়িতে ঢুকে তার বাবার ঘরে ফেনসিডিল রেখে কাছাকাছি এলাকায় থাকা গোয়েন্দা পুলিশকে জানান। পরে বাবলু সরদারকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ঘরে তল্লাশি চালিয়ে ৩৫ হাজার টাকাও নিয়ে যায় তারা।

মুন্নি বলেন, ‘আমার বাবা কোমরে কখনও সুতালি (রশি) ব্যবহার করতেন না। তাহলে তিনি কিভাবে লকআপের মধ্যে আত্মহত্যা করলেন? গেটের গ্রিলের সাথে নিজেকে সুতালিতে ঝুলিয়ে কি কখনও আত্মহত্যা করা সম্ভব ? পুলিশ তাকে হত্যা করেছে। আমরা এর বিচার চাই।’

বাবুল সরদারের ছেলে আলমগীর হোসেন বলেন, ‘পুলিশ আমার বাবাকে মারধর করেছে এবং নির্যাতনের এক পর্যায়ে তিনি মারা গেছেন। এখন পুলিশ বলছে, তিনি আত্মহত্যা করেছেন।’

সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলা ও গাফিলতির কারণে পুলিশের এএসআই সোহেল শেখ ও কনস্টেবল শরিফুলসহ দুই সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও সংবাদ