শুক্রবার ,  ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ||  ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ -  গ্রীষ্মকাল

জীবাশ্ম জ্বালানীতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবিতে শরুব ইয়থ টিমের জলবায়ু অবরোধ কর্মসূচী।

প্রকাশিত হয়েছে-

জীবাশ্ম জ্বালানীতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবিতে শরুব ইয়থ টিমের জলবায়ু অবরোধ কর্মসূচী।

মোঃ ফরিদ উদ্দিন
শ্যামনগর সাতক্ষীরা প্রতিনিধি।

শ্যামনগর উপজেলায় ০৩ মার্চ ২০২৩ শুক্রবার সকাল ১০ ঘটিকায় জীবাশ্ম জ্বালানীতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবিতে এবং নবায়ন শক্তির জন্য বিনিয়োগ বাড়ানোর আহবান জানিয়ে, শরুব ইয়ুথ টিম এর আয়োজনে , একশনএইড বাংলাদেশের সহযোগিতায় শ্যামনগর উপজেলা প্রেস ক্লাব চত্বরে শতাধিক তরুনের উপস্থিত তে এক ভিন্নধর্মী সাইকেল র‍্যালী ও জলবায়ু ধর্মঘাট আয়োজন করেছে।

বৈশ্বিক জলবায়ু ধর্মঘটের সাথে একাত্বতা জানিয়ে সংগঠনটি এই আয়োজন করে। এই ধর্মঘটে শত শত যুব্ একাত্মতা জানিয়ে অংশগ্রহন করে।
জীবাশ্ম জ্বালানী বৈশ্বিক ঊষ্ণতা বৃদ্ধির অন্যতম কারন এবং দ্রুত জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য একটি প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। কল-কারখানা, বিদ্যুৎ উৎপাদন, পরিবাহন ক্ষাত প্রতিনিয়ত যে হারে জীবাশ্ম জ্বালানী ব্যবহার করে, তার ফলে বৈশ্বিক ঊষ্ণতা তাৎপর্যপূর্ণভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এছাড়াও গ্লোবাল নর্থের সম্পদশালী দেশগুলো জীবাশ্ম জ্বালানীতে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে মূলতঃ যুদ্ধ সংগঠিত করা এবং যুদ্ধের জন্য মদদ দেওয়া, নব্য-ঔপনেবেশিক শোষন ও মানাবাধিকার লংঘনের মাধ্যমে । তারা এই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় নির্গমনকারী। তাদের পূজিবাদী মনোভাবের জন্য তারা পৃথিবীকে ধ্বংস করছে। জীবাশ্ম জ্বালানীতে বিনিয়োগ বন্ধ করার জন্য কোন কারিগরি জ্ঞানের দরকার নাই, শুধুমাত্র নিজেদের রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও সেটা বাস্তবায়নই যথেষ্ট।
এই শান্তিপূর্ন ধর্মঘটে যুবরা “জলবায়ু সুবিচার চাই”, “জীবাশ্ম জ্বালানীতে বিনিয়োগ বন্ধ কর”, “নবায়নযোগ্য জ্বালানীতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি কর” সহ শত শত স্লোগান নিয়ে যুবরা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নেতৃবৃন্দের কাছে তাদের দাবি জানায়।
জলবায়ু ধর্মঘটের আয়োজক এসএম জান্নতুল নাঈম বলেন, “পশ্চিমা বিশ্ব তাদের দৈনন্দিন আচরনের মাধ্যমে আমাদের জলবায়ু পরিবর্তনে নেতিবাচক ভূমিকা পালন করছে। পৃথিবীকে ধ্বংসের হাত থেকে টিকিয়ে রাখার জন্য তাদের আচরণের পরিবর্তন করতে হবে। আমরা চাই, পশ্চিমা বিশ্ব আমাদের ক্ষতিপূরণ দিবে এবং তারা জীবাশ্ম জ্বালানীতে বিনিয়োগ বন্ধ করবে।“
একশনএইডের প্রতিনিধি শুভেন্দু বিশ্বাস, সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার-ইয়ুথ মোবিলাইজেশন ও ক্লাইমেট একশন বলেন, “একমাত্র নবায়নযোগ্য জ্বালানীতে বিনিয়োগ, কার্বন ও গ্রীন হাউস গ্যাসের নির্গমন কমিয়ে এই ধরাকে জলবায়ু পরিবর্তনের মত বিপর্যয়কে রুখে দিতে পারে। শুধুমাত্র পশ্চিমা বিশ্বই না আমাদের দেশের সরকারকেও নবায়নযোগ্য জ্বালানী ব্যাবহারে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।“
উক্ত জলবায়ু ধর্মঘটে, শরুব ইয়ুথ টিমের বিভিন্ন ইউনিটের সদস্য ও অন্যান্য এলায়েন্স সংগঠন ও একাত্মতা প্রকাশ করে।