শুক্রবার ,  ১০ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ||  ২৭শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ -  গ্রীষ্মকাল

চুয়াডাঙ্গায় আম গাছে আসতে শুরু করেছে মুকুল; আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আমের বাম্পার ফলনের আশা

প্রকাশিত হয়েছে-

রকিবুল হাসান তোতা চুয়াডাঙ্গা:
চুয়াডাঙ্গায় চল‌তি মৌসু‌মে আ‌মের আবাদ (বাগান) হ‌য়ে‌ছে ২ হাজার ৩০৪ হেক্টর জ‌মি‌তে। বাগানগুলোতে এরইমধ্যে আ‌মের মুকুল আসা শুরু ক‌রে‌ছে। আবহা‌ওয়া অনুকূলে থাক‌লে জেলায় এবা‌রের মৌসু‌মে ৩০ হাজার ৮১৩ মে‌ট্রিকটন আম উৎপাদন হ‌বে ব‌লে আশা কর‌ছে কৃ‌ষি বিভাগ।

কৃষক‌দের স‌চেতনতা আর আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে জেলায় এবারো আমের বাম্পার ফলন হবে বলে জানালেন কৃষিবিদরা। এতে করে চুয়াডাঙ্গার উৎপাদিত আম জেলার চাহিদা পূরণ করে দেশ ও দেশের বাইরেও রফতানি করা সম্ভব হবে।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলায় ২ হাজার ৩০৪ হেক্টর জমিতে আমের বাগান রয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৭২০ হেক্টর, আলমডাঙ্গায় ২২০ হেক্টর, দামুড়হুদায় ৭৩৯ হেক্টর ও জীবননগর উপজেলায় ৬২৫ হেক্টর জমিতে আম বাগান রয়েছে। চুয়াডাঙ্গা জেলায় সব মিলিয়ে প্রায় ১০ লাখ আম গাছ রয়েছে। এর মধ্যে হিমসাগর, আম্রপালী, ন্যাংড়া, বোম্বাই, ফজলি, মল্লিকাসহ বিভিন্ন জাতের আম গাছ রয়েছে। এদের মধ্যে অর্ধেকই আম্রপালী।

চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অ‌ধিদফতরের উপ প‌রিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা জানান, কৃ‌ষি বিভা‌গের তদার‌কি ও কৃষ‌কের প‌রিশ্র‌মে গত মৌসু‌মে চুয়াডাঙ্গায় আ‌মের বাম্পার ফলন হ‌য়ে‌ছে। চল‌তি মৌসু‌মেও বাম্পার ফলন হ‌বে ব‌লে আশা কর‌ছি। আ‌গের মৌসুমগু‌লো‌তে কৃষ‌কের সামান্যতম সচেতনতার অভাবে প্রতি বছর আম-চাষিরা আমের বাম্পার ফলন থেকে বঞ্চিত হতো। অথচ সামান্য সচেতন হলেই সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে অধিক ফলনসহ বাণিজ্যিকভাবে আমের বাজারজাতকরণ ও পরিবারের আর্থিক উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব।
এ মুহূর্তে পরিচর্যা একটু বাড়াতে হবে। আমগাছের গোড়ায় মাঝে-মধ্যে সেচ দিতে হবে। এতে গাছের কাণ্ডগুলো যেমন শক্ত থাকবে, তেমনি ফুলগুলো তরতাজা থাকবে।