কালীগঞ্জে মসজিদের ইমাম কর্তৃক ছাত্রী ধর্ষণ জন্ম নিলো পুত্র সন্তান ইমামকে গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন

Exif_JPEG_420
ইপেপার / প্রিন্ট ইপেপার / প্রিন্ট
১৮৪

জিএম মামুন প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে ছাত্রীকে ধর্ষণকারী গোবিন্দপুর মসজিদের ইমাম হাবিবুল্লাহকে (২১) গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। রবিবার (২৩ অক্টোবর) বেলা ১১ টার দিকে উপজেলার সেকেন্দার নগর চৌমুহনী বাজারে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। সমাজ সেবক আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ধলবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সজল মুখার্জি ও সাধারণ সম্পাদক তাপসমন্ডল।

এসময় বক্তারা বলেন, গোবিন্দপুর জামে মসজিদের ইমাম ও উপজেলার ধলবাড়ি ইউনিয়নের রত্নেশ্বরপুর গ্রামের মহাসিন আলীর ছেলের ধর্ষনের ফলে মা হয়েছেন উকশা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী। নিজের সন্তানকে অস্বীকার করছে ওই ধর্ষক। এবিষয়ে গত দুই মাস আগে থানায় মামলা হলেও পুলিশ ধর্ষককে আটক করতে সক্ষম হয়নি। এসময় ধর্ষকের আটকের জন্য জোর দাবী জানান তারা।
থানার এজাহার সুত্রে ও স্থানীয়রা জানায়,গত দেড় বছর আগে কুরআন শরীফ তেলাওয়াত শেখার জন্য গোবিন্দপুর মসজিদে যেত ওই ছাত্রী। অল্পদিনের মধ্যে মসজিদের ইমামের সাথে তার সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে।
পরবর্তীতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে ওই ইমাম। একপর্যায়ে ওই ছাত্রী গর্ভবতী হয়ে পড়ে। এসময় ইমাম তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিষয়টি কাউকে জানাতে নিষেধ করে। পরবর্তীতে ওই ছাত্রীকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে ইমাম হাবিবুল্লাহ।

- Advertisement -

পরবর্তীতে ইমামের ধর্ষণের শিকারে গর্ভবতী হওয়ার বিষয়টি তার মা-বাবাকে জানায় ভুক্তভোগী ছাত্রী। পরবর্তীতে ধলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শওকত হোসেনের কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ জানান তার স্বজনরা। বাচ্চা ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরে বিচার করবেন বলে তাদের আশ্বাস প্রদান করেন চেয়ারম্যান। বাচ্চা ভূমিষ্ঠ হওয়ার ৪ মাস অতিবাহিত হলেও চেয়ারম্যান কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি বলে জানান ভুক্তভোগীর পরিবার। পরবর্তীতে বাধ্য হয়ে ওই ইমামের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী ছাত্রী বাদী হয়ে গত ১৫ আগস্ট ধর্ষণের অভিযোগ এনে থানায় মামলা করেন।
ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী জানান, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত দেড় বছর আগে তাকে কয়েকবার ধর্ষণ করে হাবিবুল্লাহ। বর্তমানে তার ৬ মাস বয়সী ছেলের পিতৃ পরিচয় দিতে অস্বীকার করছে সে। পিতৃ পরিচয় ছাড়া তার ছেলের জন্ম নিবন্ধন ও করানো সম্ভব হচ্ছে না।ইউনিয়ন পরিষদে বার বার গেলেও চেয়ারম্যান জন্ম নিবন্ধন করে দিচ্ছে না। এছাড়া এঘটনায় ধর্ষক ইমামের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেন ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী।
এবিষয়ে ধলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গাজী শওকত হোসেন জানান, ধর্ষণের অভিযোগে ওই ছাত্রীর করা মামলা আদালতে চলমান আছে। এছাড়া ওই বাচ্চার জন্ম নিবন্ধনের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করেন তার মা। এমন ঘটনায় ডিএনএ রিপোর্ট ব্যাতীত জন্ম নিবন্ধন দেওয়া সম্ভব না বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাকে জানিয়েছেন।এছাড়া তিনি ধর্ষনের বিষয়ে কোন শালিস করেননি বলে জানান।
এবিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কালিগঞ্জ সার্কেল) আমিনুর রহমান বলেন, ঘটনার পর থেকে আসামি পলাতক রয়েছে। তাকে আটক করার জন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে। অতিদ্রুত আসামিকে আটক করা হবে বলে তিনি জানান‌।

এই বিভাগের আরও সংবাদ