শুক্রবার ,  ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ||  ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ -  গ্রীষ্মকাল

কালীগঞ্জে বরসা এনজিও ফাঁদে ১২৫ কোটি টাকা লোপাট সজল মুখার্জির নেতৃত্বে মানববন্ধন প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি

প্রকাশিত হয়েছে-

জিএম মামুন বিশেষ প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে বরসা এনজিওর নামে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে শত কোটি টাকা আত্মসাতের প্রতিবাদে ও যথাযথ কর্তৃপক্ষের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (২২ জানুয়ারি) সকাল ১১ টায় উপজেলার ধলবাড়িয়া ইউনিয়নের বরসা এনজিওর শাখা অফিসের সামনে কয়েক হাজার ভুক্তভোগীদের উপস্থিতিতে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে ধলবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সজল মুখার্জির সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন মথুরেশপুর বাজার কমিটির সভাপতি আমিনুর রহমান, ভুক্তভোগী আব্দুর রাজ্জাক মল্লিক, তাপস মন্ডল,আব্দুর জব্বার,শওকত গাজী,নাজমুস সাদাত টিপু,শেখ ওকালাত মাস্টার প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, অধিক টাকা লাভের প্রলোভন দেখিয়ে উপজেলার ধলবাড়িয়া শাখা থেকে সাধারণ মানুষদের কাছ থেকে ১২৫ কোটি টাকা লোপাট করেছে বরসা এনজিও কর্তৃপক্ষ। ভিক্ষুক থেকে আরম্ভ করে দিন মজুরদের জমানো টাকা আত্মসাৎ করেছে এনজিও’র পরিচালক। প্রায় ৩ হাজারের অধিক ভুক্তভোগী বরসা এনজিওতে টাকা রেখে চরম হতাশায় দিন পার করছে। এনজিও’র পরিচালক আনিসুর রহমান মারা যাওয়ার পর থেকে গ্রাহকের টাকা ফেরত দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন বর্তমান পরিচালক আশিকুর রহমান। তবে দীর্ঘ ১ বছর গত হলেও একজনও গ্রাহকের টাকা ফেরত দেননি তিনি। দেশের বিভিন্ন উপজেলায় তাদের ২৩ টি শাখা অফিস রয়েছে। ওই সব শাখা থেকে কোটি কোটি টাকা লুটে নিয়ে দেশের বাইরে বিপুল পরিমাণ সম্পদ গড়ে তুলেছেন এনজিওর পরিচালক। জমানো টাকা ফেরত চাইতে গেলে এনজিওর পরিচালক নিজের প্রভাব খাটিয়ে ও পুলিশের ভয় দেখিয়ে ভুক্তভোগীদের মুখ বন্ধ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষের কোটি কোটি টাকা লুটে নিয়ে দেশের বাইরে পাড়ি জমাতে পারে পরিচালক এমনটা আশাংকা করছেন ভুক্তভোগী গ্রাহকরা। আগামী ১০ দিনের মধ্যে গ্রাহকদের জমানো টাকা ফেরত না পেলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবেন ভুক্তভোগীরা বলে বক্তারা হুঁশিয়ারি প্রদান করেন। এছাড়া জমানো টাকা ফেরত পেতে কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ধলবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সজল মুখার্জী এবং প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী গ্রাহকরা।