কালিগঞ্জে দুর্নীতির মহা উৎসব এডিপি ও উপজেলা উন্নয়ন খাতের কাজে ভয়াবহ লুটপাট পর্ব-১
নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে এডিপি ও উপজেলা পরিষদের উন্নয়ন খাতের প্রকল্পে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে প্রায় এক কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। টেন্ডার ও পিআইসির মাধ্যমে প্রকল্পে নামমাত্র কাজ করে বা মোটেও কাজ না করে বিল উত্তোলন করেছেন। তথাকথিত স্মার্ট উপজেলা গড়ার কল্পকাহিনী প্রচারকারী সদ্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী, কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধি। সরেজমিন উপজেলা ঘুরে জানা গেছে এই , দুর্নীতি ও লুটপাটের তথ্য।প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কালিগঞ্জ উপজেলায় বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আওতায় ২০২৩ সালের ২৯ অক্টোবর উপজেলা পরিষদের সভায় রেজুলেশনের মাধ্যমে ১২ ইউনিয়নে ৯৬ লক্ষ ৪৬ হাজার টাকা ব্যয়ে ৪৬ টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। এরমধ্যে ২৪ টি প্রকল্প টেন্ডারের মাধ্যমে এবং ২২ টি প্রকল্প পিআইসি’র মাধ্যমে বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ওই প্রকল্পের মধ্যে ছিল রাস্তা সংস্কার, ইট সোলিংকরণ, সিসি ক্যামেরা স্থাপন, খেলার সামগ্রী বিতরণ, পুকুরের পাড়ের রাস্তা প্যালাসাইডিং ও সবজির চারা বিতরণ। গৃহীত প্রকল্পসমূহ আগামী ৩০ জুন ২০২৪ এর মধ্যে শেষ করার কথা রয়েছে।এছাড়া উপজেলা পরিষদের উন্নয়ন খাতে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ২ কোটি ১৮ লক্ষ ২৬ হাজার ৩০৩ টাকা ব্যয়ে ১২ ইউনিয়নে মোট ৩৪ টি প্রকল্প গৃহীত হয়। ২০২৩ সালে ১০ আগস্ট উপজেলা পরিষদের সভায় উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী সভাপতি হিসেবে এসব প্রকল্প অনুমোদন করেন। ৩৪ টি প্রকল্পের মধ্যে ২১ টি প্রকল্প টেন্ডারের মাধ্যমে এবং ১৩ টি প্রকল্প পিআইসি’র মাধ্যমে বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত হয় যার মধ্যে ছিল রাস্তা সংস্কার, ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বাইসাইকেল বিতরণ, সেলাই মেশিন বিতরণ, পানি নিষ্কাশনের ড্রেন নির্মাণ, প্যালাসাইডিংকরণ। এ প্রকল্পের আওতায় মৌতলা ও মথুরেশপুর ইউিিনয়নের মধ্যবর্তী কাটাখালী এলাকায় অবস্থিত উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদীর নিজস্ব মাছের ঘেরে কৃষি স্মার্ট ভিলেজ ও পানির প্লান্ট নির্মাণের জন্য ৩২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয় যদিও সেখানে কোন কাজ এখনও শুরু হয়নি বলে জানা গেছে।
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ও উপজেলা পরিষদ উন্নয়ন খাতে মোট বরাদ্দকৃত ৩ কোটি ১৪ লক্ষ ৭২ হাজার ৩০৩ টাকার প্রকল্পের মধ্যে ছিল ২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে কুশলিয়া ইউনিয়নের বাজারগ্রামে বাবুর বাড়ি হতে মিন্টুর বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার ও ইটের সোলিং, ১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে কুশুলিয়া গ্রামে পানু ময়রার বাড়ি হতে অঞ্জনার বাড়ি পর্যন্ত ইটের সোলিং, ৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে মহৎপুর আমতলা মোড়ে ইসলামের বাড়ি হতে নাজিমুল ইসলামের বাড়ি অভিমূখে আরসিসিকরণ, ২লক্ষ ৪০ হাজার টাকা ব্যয়ে ঘোজাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয় রাস্তার ইট সোলিং। এসব প্রকল্পের কাজ টেন্ডারের মাধ্যমে দায়সারাভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। পিআইসির মাধ্যমে করা ১২টি প্রকল্পের কোনোটি অর্ধেক করা হয়েছে, আবার কোনটির কাজের হদিস মেলেনি। বাজারগ্রাম মোহাম্মদ ড্রাইভারের বাড়ি হতে রফিকুলের বাড়ি পর্যন্ত পুকুরের পাড় প্যালাসাইডিং করার জন্য বরাদ্দকৃত ২ লক্ষ টাকার কাজ ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা ব্যয়ে দায়সারাভাবে শেষ করা হয়েছে। এ বিষয়ে কুশুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান, স্থানীয় ইউপি সদস্য ও জনগণ প্রতিবাদ করেও কোনো প্রতিকার পাননি। এমনকি এই প্রকল্প সম্পর্কে কোনো তথ্য কিংবা প্রকল্পের সভাপতি কে সেটাও তারা জানতে পারেননি। সেকারণে অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। একইভাবে ২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে বাজারগ্রাম কাশেমপুর গ্রামে আফজালের বাড়ি হতে মুর্শিদের বাড়ি পর্যন্ত পুকুরের পাড়ে পালাসাইডিং প্রকল্পেও চরম অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে। আরও ৩ টি প্রকল্পে ইট সোলিংয়ে নি¤œমানের সামগ্রী ব্যবহার করে কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নলতা ইউনিয়নে সেন্ট্রাল সেহারা জামে মসজিদ সংলগ্ন কার্পেটিং রাস্তার ড্রেন নির্মাণের জন্য বরাদ্দকৃত ২ লক্ষ টাকার প্রকল্পের কোনো হদিস মেলেনি। এছাড়াও ১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নলতা ইউনিয়নে ৪ টি জামে মসজিদে বসার স্থান নির্মাণের কাজ চোখে পড়েনি। ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে কাশিবাটি আব্বাসের হাটখোলা সংলগ্ন লিয়াকতের বাড়ি হতে সাত্তারের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা পালাসাইডিং ও ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে কাশিবাটি সাকাতের বাড়ির পাশে প্যালাসাইডিংকরণ কাজে সব মিলিয়ে ১ লক্ষ টাকায় যেনতেন ভাবে শেষ করে ২ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে। ওই দু’টি প্রকল্পের সভাপতি কে সেটাও জানার সুযোগ হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। তারালি ইউনিয়নে জলাবদ্ধতা দূরীকরণে পাইপ সরবরাহ বাবদ ১ লক্ষ টাকা ও আরশাদ মেম্বারের বাড়ির সামনে কালভার্ট নির্মাণ বাবদ ১ লক্ষ ৫২ হাজার টাকার প্রকল্প কাগজে কলমে থাকলেও বাস্তবে কোন হদিস মেলেনি।এছাড়াও ১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নলতা ইউনিয়নে ৪ টি জামে মসজিদে বসার স্থান নির্মাণের কাজ চোখে পড়েনি। ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে কাশিবাটি আব্বাসের হাটখোলা সংলগ্ন লিয়াকতের বাড়ি হতে সাত্তারের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা পালাসাইডিং ও ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে কাশিবাটি সাকাতের বাড়ির পাশে প্যালাসাইডিংকরণ কাজে সব মিলিয়ে ১ লক্ষ টাকায় যেনতেন ভাবে শেষ করে ২ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে। ওই দু’টি প্রকল্পের সভাপতি কে সেটাও জানার সুযোগ হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। তারালি ইউনিয়নে জলাবদ্ধতা দূরীকরণে পাইপ সরবরাহ বাবদ ১ লক্ষ টাকা ও আরশাদ মেম্বারের বাড়ির সামনে কালভার্ট নির্মাণ বাবদ ১ লক্ষ ৫২ হাজার টাকার প্রকল্প কাগজে কলমে থাকলেও বাস্তবে কোন হদিস মেলেনি। একইভাবে ১ লক্ষ ৫ হাজার ১৭৪ টাকা ব্যয়ে কাঁকশিয়ালী দাসপাড়া এলাকায় পানি নিষ্কাশনের ড্রেন নির্মাণ এবং কাঁকশিয়ালী জিপিএস এর সামনে ইটসোলিংকরণ বাবদ ৮৪ হাজার টাকার প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন হয়নি। কুশলিয়া ইউনিয়নের গোবিন্দপুর মধুসূদনের বাড়ি হতে মুরারীমোহন ডাক্তারের বাড়ি পর্যন্ত প্যালাসাইডিংকরণে ১ লক্ষ টাকার প্রকল্পের কোনো কাজ করা হয়নি। মৌতলা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে আব্দুল্যাহর বাড়ি হতে শেওড়া বিলের রাস্তা হয়ে শফিকুলের দোকান পর্যন্ত অসমাপ্ত রাস্তার জন্য বরাদ্দ দেয়া হয় ৬ লক্ষ ৯০ হাজার ৭২৮ টাকা। ১২শ’ এই রাস্তার কোন কাজ এখনও করা হয়নি। মৌতলা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে বিল্লালের বাড়ি হতে সরদারবাড়ি জামে মসজিদের অসমাপ্ত ইটসোলিং (৩৫০ ফুট) রাস্তার জন্য ২ লক্ষ ২ হাজার ৪৮৭ টাকা বরাদ্দ দেয়া হলেও ৫ মে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আদৌ কাজ করা হয়নি। ২নং ওয়ার্ডে জঠোবাড়ির সামনের পুকুরের পাড় প্যালাসাইডিং (৬০ ফুট) এর ন্য ১ লাখ ৪৭ হাজার ২৯৮ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। তবে এ নামে কোন স্থানের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। পশ্চিম মৌতলায় আব্দুল্যা খানের দোকান হতে খানপাড়া মসজিদ পর্যন্ত ৩০০ ফুট ইটসোলিং করার জন্য ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। তবে প্রকল্পের বরাদ্দের পাশাপাশি স্থানীয় এলাকাবাসীর কাছ থেকে আর্থিক সহযোগিতা নিয়ে ওই প্রকল্পের কাজ যেনতেন ভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে।সরেজমিন আরও কিছু প্রকল্প সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে কিছু প্রকল্পে সামান্য কাজ হয়েছে আবার কিছু প্রকল্পের মোটে কাজ না করেই বিল তুলে নেয়া হয়েছে। তালিকা অনুযায়ী অনেক প্রকল্পের খোঁজই মেলেনি। অথচ স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশলী অধিদপ্তরের কাজগুলো এলজিইডি কাগজে কলমে বাস্তবায়ন দেখিয়েছেন। পিইসি পকল্পসমূহে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী পছন্দের ইউপি সদস্যদের প্রকল্প সভাপতি করেছেন। পরে তার স্বাক্ষরের মাধ্যমে টাকা তুলে নেয়া হচ্ছে।
সম্প্রতি কাজ না করে কিংবা আংশিক কাজ করে প্রায় কোটি টাকা আত্মসাতের বিষয়টি উপজেলার বিভিন্ন ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যবৃন্দ অভিযোগ তোলেন। বিশেষ করে পিইসি’র মাধ্যমে যেসব প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয় সেসব প্রকল্পে বেশী দুর্নীতি ও লুটপাট করা হয়েছে বলে জানান তারা।এদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপংকর দাশ ও উপজেলা প্রকৌশলী কাজী ফয়সাল বারীর কাছে প্রকল্প সম্পর্কে তথ্য চাইলে তারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের ও প্রকল্প সভাপতির সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি নানা অজুহাত দেখাতে থাকেন। এমনকি একজন গণমাধ্যমকর্মী তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী গত ৩ এপ্রিল লিখিতভাবে তথ্য প্রাপ্তির আবেদন করলেও অদ্যাবধি তথ্য পাওয়া যায়নি।অপরদিকে টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ পাওয়া অধিকাংশ ঠিকাদার কাজ শুরুর আগেই প্রকল্প বিক্রি করে লভ্যাংশ নিয়ে অন্য ঠিকাদারের নিকট বিক্রি করে দিয়েছেন। আর ওই ঠিকাদারদের দ্বারা উপজেলা প্রকৌশলী ও সহকারী প্রকৌশলীগণ অদৃশ্য কারণে নি¤œমানের ইট বালু দিয়ে কোন রকমে রাস্তার ইটেরসোলিং কাজ সম্পন্ন দেখিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদীকে দিয়ে উদ্বোধন করিয়ে ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণের ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে তারালী ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এনামুল হোসেন ছোট, কুশলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, ভাড়াশিমলা ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল হোসেন নাঈম, বিষ্ণুপুর ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, দক্ষিণ শ্রীপুর ইউপি চেয়ারম্যান গোবিন্দ মন্ডল, কুশলিয়া ইউপির সদস্য আবু মুসা, আকলিমা খাতুন, খায়রুল ইসলামসহ কয়েকজন জনপ্রতিনিধি জানান, উপজেলা পরিষদের বার্ষিক উন্নয়ন (এডিপি) ও উপজেলা পরিষদের উন্নয়ন খাত এর বিষয়ে প্রকল্প গ্রহণের ক্ষমতা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের হাতে। তিনি আমাদের মতামতের কোনো মূল্য না দিয়ে নিজের ইচ্ছামতো পিআইসি ও ক্রয় কমিটি করে প্রকল্পের কাজ করলে সেক্ষেত্রে আমাদের কিছুই করার থাকে না। এর দায় দায়িত্ব উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকৌশলীর।এদিকে সম্প্রতি উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদীর এসব অনিয়ম, দুর্নীতি, লুটপাট ও স্বজনপ্রীতির প্রতিবাদ জানিয়েছেন উপজেলার ১২ ইউপি চেয়ারম্যানের মধ্যে ১১ জন। আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ওই ১১ জন চেয়ারম্যান উপজেলা পরিষদের সদ্যসাবেক চেয়ারম্যান ও আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থী সাঈদ মেহেদীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন যা নিয়ে উপজেলার সর্বত্র তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। জানতে চাইলে উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী বলেন, আমি পুনরায় নির্বাচিত হয়ে ৩০ জুনের মধ্যে সব প্রকল্পের কাজ শেষ করে দিবো। প্রকল্পের কাজ সম্পর্কে তথ্য চাইলে তিনি বলেন, এই মুহূর্তে নিউজ হলে আমার নির্বাচনে প্রভাব পড়বে। এব্যাপারে নিউজ না করার জন্য তিনি অনুরোধ জানান।