“ঈদগাঁওতে জমি জবর দখলের চেষ্টার অভিযোগ” শীর্ষক সংবাদের প্রতিবাদ।
“ঈদগাঁওতে জমি জবর দখলের চেষ্টার অভিযোগ” শীর্ষক সংবাদের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা
:
গত ২৪ সেপ্টেম্বর স্থানীয় দৈনিক পত্রিকা ও ফেইসবুক পেইজে টিটিএন কক্স বার্তা টিভি অনলাইন নিউজে ঈদগাঁওতে পঙ্গু ব্যক্তির জমি জবর দখলের চেষ্টার অভিযোগ শীর্ষক সংবাদটি আবার দৃষ্টিগোচর হয়েছে।
প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ব্যখ্যা জানাচ্ছি। উক্ত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
উক্ত সংবাদে দাবি করা হয়েছে আমরা জোরপূর্বক জায়গা দখল করতেছি, কিন্তু প্রকৃত ঘটনা হলো আমার বাবা মৃত আবদু শুক্কুর খরিদ মুলে বিএস ২৬৪৭ নং খতিয়ান মুলে রেকর্ড মালিক। আমার পিতা মৃত আবদু শুক্কুর উক্ত খতিয়ান অনুসারে ৪১ শতক জায়গার মালিক। তিনি আমার চাচা মৃত আবদুল করিমকে ২৩ শতক জায়গা বিক্রি করে দেয়। বাকি ১৮ শতকে মালিক আমার বাবা। কিন্তু আমার চাচা মৃত আবদুল করিম জোরপূর্বক আমার বাবার অবশিষ্ট জমি দখল করে নিয়েছিলো, তিনি দীর্ঘদিন ভোগ করে মারা গেলে পরবর্তীতে তার ছেলে ফরিদুল আলম গং অন্যায়ভাবে ভোগ করে আসছে। বর্তমানে আমরা আমাদের জমি বৈধ মালিক দাবি করে স্থানীয় সালিশের মাধ্যমে নিষ্পত্তি চেষ্টা করলে তারা উক্ত সালিশের রায়ের পূর্বে বিচার কার্যে অনুপস্থিত থাকে। পরবর্তীতে তারা ইউনিয়ন পরিষদের বিচার দিলে সেখানেও বিচার কার্য শেষ না করে পরবর্তীতে থানায় বিচার দেই ! কিন্তু ওখানে বিচারের তারিখে তারা বার বার অনুপস্থিত থাকে। মুলত তারা বিচার কার্যকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে আমাদেরকে হয়রানি করে আসছে দিনের পর দিন। তাতেই বুঝা যায় জোরপূর্বক জায়গা দখল করাই তাদের মুল উদ্দেশ্য। উক্ত তফসিলোক্ত জমিতে আমাদের বসতবাড়িতে, গত ২৩/০৯/২০২২ ইংরেজি তারিখে রাত আনুমানিক ৩ ঘটিকার সময় ফরিদুল ইসলাম গং এর পুত্র জাহেদুল ইসলাম রিপনের নেতৃত্বে ২০/২৫ জনের একটি দল আমাদের নির্মিত বাড়ির ওপর হামলা চালিয়ে আমাদের জমি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা চালায়। সেদিনের ঘটনায় আমার বড় বোন খুশিদা আক্তারকে মারাত্মক ভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। আমাদের শৌরচিৎকার শুনে পাড়া প্রতিবেশী এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়। এলাবাসীরা আমার বড় বোনকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়। এর পরের দিন তারা একই ভাবে উক্ত জায়গা দখলের উদ্দেশ্য ২০/২৫ জনে একটি দল আবারও হামালা চালাতে আসলে আমরা বাধা দিই এবং আমাদের শোরগোল শুনে লোকজন জড়ো হলে তারা পালিয়ে যায়। পরবর্তী থানায় টহলরত পুলিশকে ফোন করলে তারা ঘটনা স্থাল পরিদর্শন করে চলে যায়। এ ঘটনার পর হতে তারা আমাদের নিয়মিত প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে এবং উক্ত তফসিলীয় জমিতে আমাদের ঘর ভেঙ্গে দিতে বা জোর পূর্বক দখলের তারা নানান ভাবে হামলার হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে। বিভ্রান্ত ও মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করেও আমাদের ঘায়েল করার চেষ্টা করতেছে। বর্তমানে আমাদের পরিবারের সদস্যরা আতঙ্কে দিনপার করতেছে। এই ঘটনার পরিপেক্ষিতে প্রশাসনের কাছে আমাদের জানমালের নিরাপত্তা বিধানের জোর আবেদন জানাচ্ছি।
সংবাদের প্রতিবাদ ও ব্যখ্যাকারি-
মোঃ ওমর ফারুক, পিতা- মৃত আব্দু শুক্কুর।
সাং- পশ্চিম বোয়ালখালী, ইসলামাবাদ, ইদগাঁও, কক্সবাজার।