সুপার ও শিক্ষকবৃন্দের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়! খলিলনগর আমিনিয়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসার শতভাগ সাফল্য

ইপেপার / প্রিন্ট ইপেপার / প্রিন্ট

মোঃ তুহিন হোসেন সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি:

বর্তমানে শিক্ষার্থীদের শাসন করা শিক্ষকের বারণ। এখন শিক্ষকের হাতে শাসনের লাঠি নেই। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের শ্রদ্ধার সম্পর্কটাও অনেকটা মিঠা হয়ে গেছে। প্রশংসায় ভাসছে সাতক্ষীরা খলিলনগর আমিনিয়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সুপারিন্টেন্ডেন্ট মাওলানা মোঃ অহিদুজ্জামান। তিনি একজন কর্মচঞ্চল, পরিশ্রমী, ন্যায়-নিষ্ঠাবান এবং চৌকস সুপারিন্টেন্ডেন্ট। তার সততা ও নিষ্ঠার শিক্ষকদের মাঝে বেড়েছে কাজের স্পৃহা ও দায়িত্বশীলতা। তিনি অফিসে নিয়মিত উপস্থিত হয়ে শিক্ষার সার্বিক ব্যবস্থাপনা উন্নতি করণের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন অবিরত।
বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত দাখিল পরীক্ষায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ৩নং বৈকারী ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী খলিলনগর আমিনিয়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা সাফল্যের কৃতিত্বপূর্ণ ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছে। চলতি বছর দাখিল পরীক্ষায় ২৪ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। তার মধ্যে ১০ জন জিপিএ ৫ (এ+), ০৯ জন এ (এ), ০৩ জন এ (এ-) ও ০২ জন (বি) সহ শতভাগ পাশ করে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আবারোও শীর্ষ স্থানে রয়েছে।
মাদ্রাসার এ ভালো ফলাফলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা অত্যন্ত আনন্দিত। এছাড়া মাদ্রাসার শিক্ষার মান ও শিক্ষা কার্যক্রমের সুন্দর পরিবেশ, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, বিজ্ঞানসম্মত, আধুনিক ও যুগোপযোগী কার্যকরী শিক্ষার প্রয়োগ, দ্বীনদার দক্ষ জনশক্তি তৈরির ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ রাখা ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিয়মিত লেখাপড়ায় মনোনিবেশ সৃষ্টিতে মাদ্রাসার সুপারিন্টেন্ডেন্ট মাওলানা মোঃ অহিদুজ্জামানের আন্তরিক প্রচেষ্টা, সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ ও নিবিড় পরিচর্যা ভূমিকা রেখেছে বলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা অভিমত ব্যক্ত করেন।
মাদ্রাসার সুপারিন্টেন্ডেন্ট মাওলানা মোঃ অহিদুজ্জামানের দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা দর্পণকে জানান, মাদ্রাসার গর্ভনিং বডি, অভিভাবক, শিক্ষক ও শিক্ষিকাবৃন্দ এবং এলাকাবাসীর প্রচেষ্টায় এবারের দাখিল পরীক্ষায় শতভাগ সাফল্য অর্জিত সম্ভব হয়েছে। তিনি আরোও বলেন অন্যায় কাজের ক্ষেত্রে আমি আপোষ করতে রাজি না। শিক্ষকরা আরো আন্তরিক হলে, পরিপূর্ণ দায়িত্বশীলতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর পড়ালেখার সার্বিক তত্ত্বাবধান করতে সমর্থ হলে একজনও ফেল করবে না। সেজন্যে শিক্ষককে সময় দিতে হবে। এক্ষেত্রে অভিভাবকদের দায় এড়ানোও সম্ভব নয়। বাবা কিংবা মা অথবা দুজনেই যদি তাদের পরীক্ষার্থী সন্তানের পড়ালেখার অগ্রগতি কিংবা অবনতি পর্যবেক্ষণে কিছু সময় ব্যয় করেন এবং শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করেন, তাহলে একজন শিক্ষার্থী অতিরিক্ত পরিশ্রমী ও শিক্ষার প্রতি মনোযোগী হবে, সেটি মোটামুটি নিশ্চিত। পরীক্ষার ফলে তার প্রতিফলন ঘটতে বাধ্য।

- Advertisement -

এই বিভাগের আরও সংবাদ