কালিগঞ্জ নলতায় সড়ক দুর্ঘটনায় ঘাতক বাইকার পলাতক সি সি ফুটেজে ঠিকানা শনাক্ত- লাইভ সাপোর্টে সাদিয়া

জিএম মামুন নিজস্ব প্রতিনিধি
সাতক্ষীরার কালীগঞ্জে নলতা কলেজ গেটে মোটর বাইক দুর্ঘটনায় আইকন আইটি কম্পিউটার কোচিং সেন্টারের ছাত্রী সাদিয়া খাতুন (২৪) গুরুতর আহত হয়ে খুলনা সিটি মেডিকেল লাইভ সাপোর্টে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।
সাতক্ষীরা টু শ্যামনগর মহাসড়কে নলতা কলেজ গেটের সামনে বুধবার ১৯শে মার্চ সকাল১০ ঘটিকায় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় আইকন আইটি কম্পিউটার কোচিং সেন্টারের ছাত্রী সাদিয়া খাতুন (২৪)কে বাড়ি থেকে আসার পথে মোটরসাইকেল বাইকার সজরে ধাক্কা দিয়ে ১৫ থেকে ২০ হাত দূরে ছিটকে ফেলে রেখে। ঘাতক বাইকার তার ব্যবহারিত RN-5 ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেল স্বজরে চালিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনা স্থান ত্যাগ করে পালিয়ে যায়।
সাথে সাথে আইকন কোচিং সেন্টার পরিচালক আলামিন হোসেন, ছাত্র সৈকত সহ স্থানীয়রা নলতা হাসপাতালে সাদিয়াকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। সাথে সাথে নলতা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সাদিয়ার অবস্থা অবনতি দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রেফার করেন। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল যখন সাদিয়ার অবস্থা বেগতিক দেখে ফেরত দেয় পরিবারের লোকজন ও তার স্বামী তারিকুশ সারাফাত খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমান সাদিয়া লাইফ সাপোর্টে সাদিয়া মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। পার্বতীতে সিসি ক্যামেরা ফুটেজ বাহির করে। সাথে সাথে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার ফলে কয়েক ঘণ্টা পর ঘাতক মোটরসাইকেল চালকের ফেসবুকের মাধ্যমে সন্ধান পাওয়া যায়। পরবর্তীতে নলতা আইটির কোচিং এর পরিচালক আল আমিন এবং ছাত্র সৈকত পরিবারের আরো দুইজনকে সাথে নিয়ে ঘাতক মোটরসাইকেল চালক দেবহাটা থানার টাউন শ্রীপুর গ্রামের তুরস্ক প্রবাসী জাহাঙ্গীর হোসেনের পুত্র জিসান (২০) এলাকায় যায়। প্রাথমিক পর্যায়ে জিশানের পিতা প্রবাসী জাহাঙ্গীর হোসেন দুর্ঘটনার কথা স্বীকার করে এবং বলেছেন আমার ছেলে বাড়িতে এসে বলছে ছোট্ট একটা অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছে।
তবে জানা যায় দেবহাটা থানার হাদিপুর গ্রামের মোস্তফা শেখের কন্যা সাদিয়া। তারিকুশ সারাফাত সাদিয়া দম্পতির তিন বছরের একটি কন্যা সন্তান আছে।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ হাফিজুর রহমানের কাছে মুঠো ফোনের মাধ্যমে জানতে চাইলে তিনি জানান। আমার থানা এলাকায় এক্সিডেন্ট হয়েছে আমাকে কেউ জানায়নি। তবে এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।